মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


শীতে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা যা করবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শীতকালে শিশুদের অসুখ বেশি হয়। ঠাণ্ডার সময়ে সর্দি, জ্বর, কাশি ও গলাব্যথা খুব সাধারণ অসুখ। এমনিতেই শিশুর যত্নে সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয় আর শীতকালে শিশুর চাই বাড়তি যত্ন। শীতে আপনার নবজাতক শিশুর (১ থেকে ২৮ দিন বয়সী শিশু) জন্য আরও বেশি যত্নবান হতে হবে।

শীতে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়

১. শীতে শিশুকে উপযুক্ত আরামদায়ক ও কিছু বাড়তি গরম কাপড় গায়ে দিতে দেবেন। তার মাথা, ঘাড়, হাত এবং পা ভালোভাবে গরম কাপড়ে ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করুন। অবশ্যই শিশুদের জন্য কয়েক জোড়া শীতের কাপড় ব্যবহার করবেন এবং দুই থেকে তিন দিন অন্তর অন্তর তা পরিষ্কার করে ধুয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নেবেন।

২. শীতে শুধু ঠান্ডা লাগার কারণেই যে বাচ্চা অসুস্থ হবে তা নয় বরং শীতকালীন অসুখের মূল কারণ বায়ুবাহিত বিভিন্ন রোগজীবাণু যা সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশেষ করে শিশুদের সহজেই আক্রমণ করে। আর সেইসাথে থাকে প্রচুর ধুলোবালি যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে নাক দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করলে গলায় কিংবা নাকে প্রদাহ, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

৩. শীতে গরম পানিতে শিশুকে হাত ধুতে দিন, কারণ ঠান্ডা লাগার ভয়ে শিশু ভালোভাবে হাত না ধুলে সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ার জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে।

৪. শুষ্ক শীতের মৌসুমে শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে অন্য সময়ের তুলনায় বেশি পানি বেরিয়ে যায়। এটি একটি বিশেষ লক্ষণীয় বিষয় আর এজন্য সর্বদা শিশুদের জলযোজিত রাখতে হবে। এই ঋতুতে বাচ্চাদের বেশি বেশি গরম পানীয় পান করতে দিন তাতে পানিশূন্যতা পূরণ হবে আর গরম পানি তাকে ঠান্ডা লাগা থেকে দূরে রাখবে।

৫. শীতে সবার ত্বকই শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায় আর বিভিন্ন চর্মরোগ আক্রমণ করে। শীতে চাই ত্বকের পর্যাপ্ত ময়েশ্চারাইজার। শীতকালে আপনার বাচ্চা স্কুলে অন্যদের মাধ্যমে কিছু ছোঁয়াচে চর্মরোগে আক্রান্ত হতে পারে। শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন নিতে বিশেষ খেয়াল রাখুন। নিয়মিত লোশন লাগান যেন ত্বক শুষ্ক হয়ে না যায়।

৬. আপনার শিশুকে শীতকালে বেশি বেশি ফলমূল, শাকসবজি ও সুষম খাদ্য খাইয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করুন। এই মৌসুমে নানান রকমের রোগ বালাই থেকে দূরে থাকতে ছোট্ট সোনামণিদের খাওয়ান মৌসুমি ফল ও সবজি। মূল কথা বাচ্চার ভিটামিন প্রাকৃতিকভাবেই পূরণ করুন।

এ ছাড়া দৈনিক এক চামচ মধু খাওয়ান তাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ও সর্দি-কাশি কিংবা ঠান্ডা লাগার ঝামেলা একদম কমে যাবে।

৭, শীত বলে পরিচ্ছন্নতায় অবহেলা না করে শিশুকে নিয়মিত গোসল করান। তবে দুপুর ১২টার আগেই গোসলের পর্ব সেরে ফেলুন। গোসলের পর বাচ্চার মাথা ও শরীর ভালো করে মুছে তারপর জামা কাপড় পরাবেন। ত্বক ভালো রাখতে অবশ্যই বেবি লোশন বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ