আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলমসহ ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তথ্যগত ত্রুটি ও প্রস্তাবক, সমর্থকদের স্বাক্ষরের গরমিল পাওয়ায় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
আজ রোববার দুপুরে যাচাই-বাছাইকালে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন- হিরো আলম, অ্যাভোকেট ইলিয়াস আলী, গোলাম মোস্তফা, আব্দুর রশিদ লালু, নন্দীগ্রাম পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র কামরুল হাসান জুয়েল ও তাজ উদ্দিন। তাঁদের মধ্যে তাজ উদ্দিন বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। অন্য সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দাখিল করা মোট ভোটারের এক শতাংশের সমর্থন ও স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকায় গরমিল পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের তাজ উদ্দিন মনোনয়নপত্রে নিজেই স্বাক্ষর করেননি এবং তার প্রস্তাবক ও সমর্থকেরও কোনো স্বাক্ষর নেই।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন- হিরো আলম, ট্রাক মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আব্দুল মান্নান আকন্দ, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু, সদর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সরকার বাদল, রাকিব হাসান ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মুনসুর রহমান।
এ আসনেও সমর্থকদের স্বাক্ষর করা তালিকায় গরমিল পাওয়ায় ৫ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নিজের এবং তাঁর সমর্থক ও প্রস্তাবকের স্বাক্ষর ছিল না মনোনয়নপত্রে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা আগামী ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আপিলে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে পারলে তাঁদের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ আছে।
প্রার্থিতা বাতিল প্রসঙ্গে আলোচিত হিরো আলম বলেন, একই অজুহাতে একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। সে সময় নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলাম। এবারও আপিল করব এবং আশা করছি দু’আসনেই আমার প্রার্থিতা ফিরে পাব।
আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, অতি সম্প্রতি বগুড়া পৌরসভা ও জেলা পরিষদের নির্বাচনে আমি অংশ নিয়ে ব্যাপক জনসমর্থন পাই। তারপরও বলা হচ্ছে, আমার সমর্থকদের নির্বাচন কমিশন খুঁজে পায়নি। তাদের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করব।
-এটি