আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইরানি শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করেছে ইরাকি এবং কুর্দি কর্তৃপক্ষ। তিন বছর আগে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছিলেন সোলেইমানি। এজন্য সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইরাক।
৫ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী রাজধানী বাগদাদে কাসেম সোলেইমানি স্মরণে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। সেখানে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বারা করা এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ইরাকের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর মাধ্যমে উভয় দেশের যৌথ চুক্তিকে অসম্মান করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সোলেইমানি ছিলেন ইরাকের অতিথি। সোলেইমানি এবং আল মুহান্দিসের রক্ত বৃথা যাবে না।' তিনি জানিয়েছেন, ইরাকের সার্বভৌমত্ব লংঘন করাসহ দেশটির অতিথিদের হত্যা করার মত ঘটনা যেন আর কখনও না ঘটে সে বিষয়ে সজাগ থাকবে তার সরকার।
ইরাকের প্রেসিডেন্ট আবদুল লতিফ রশিদের প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আলিয়াওয়ে বলেন, 'সোলেইমানি এবং আল মুহান্দিস শত্রুদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করেছিলেন। তাদের লক্ষ্যবস্তু করার অপরাধ সর্বদা প্রত্যাখ্যান এবং নিন্দা করা উচিত।'
ইরাকি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ফাইক জিদান বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড কাপুরুষোচিত অপরাধ ছিল যার কোনো আইনি বা নৈতিক ভিত্তি নেই। হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা বিচার বিভাগের দায়িত্ব।'
গত বছর, ইরাকের বিচার বিভাগ সোলেইমানি ও মুহান্দিসকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
এদিকে উত্তর ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের সুলাইমানিয়াহ শহরে সোলেইমানি এবং মুহান্দিস স্মরণে অনুষ্ঠান হয়েছিল। এতে সকল কুর্দি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কাসেম সোলেইমানি ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের কমান্ডার এবং আবু মাহদি আল মুহান্দিস, ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স (পিএমএফ) এর ডেপুটি চিফ ছিলেন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি মার্কিন ড্রোন তাদের গাড়ি বহরে হামলা করলে উভয়েই নিহত হন। সূত্র: দ্য নিউ আরব
-এটি