আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, দুষ্কৃতিকারীরা যেন শিশু- কিশোরদের উপর নির্যাতন ও অন্যায় পথে চালিত করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশু-কিশোরদের উন্নয়ন ও সুরক্ষায় অভিভাবক ও সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ শুক্রবার বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কিশোর কিশোরী ক্লাবের কার্যক্রম ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আট হাজার কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন করেছে। এই ক্লাব কিশোর-কিশোরীদের বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স প্রতিরোধ এবং রিপ্রডাক্টিভ হেলথ বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের সচেতন করছে। কিশোর কিশোরীরা ক্লাবে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নিজেদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন শিশুরা যদি শিক্ষা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং খেলাধুলার যথাযথ সুযোগ পায় তাহলে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ ও মানুষকে ভালোবেসে নিজেদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেন। ছত্রিশ হাজার প্রাইমারী স্কুল ও লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করেন। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে প্রতিটি ইউনিয়ন ও প্রতিটি পৌরসভায় স্থাপিত প্রতিটি ক্লাবে ৩০ জন সদস্য আছে। এর মধ্যে ২০ জন কিশোরী ও ১০ জন কিশোর রয়েছে।
-এসআর