আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দলমত নির্বিশেষে সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দীর্ঘ ২১ বছর দেশে আইনের শাসনকে ধূলিসাৎ করার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সব অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। এই আইনের শাসনের ধারাবাহিকতাকে রক্ষা করতে হবে।
আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩৬তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে বাঙালিদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সাল থেকে বাঙালি জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য বাঙালি জাতিকে তৈরি করেছেন। তারপর একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ দিয়েছেন। অথচ বঙ্গবন্ধুকে এদেশেরই কিছু কুলাঙ্গার সন্তান নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করে।
শুধু তাই নয় তাঁকে হত্যা করার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামক একটি কালো আইন জারি করে দীর্ঘ ২১ বছর তাঁর হত্যাকান্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়। এমনকি তাঁকে হত্যার পর একটি এজাহার পর্যন্ত দায়ের করা হয়নি।
সমিতির সভাপতি এ কে এম আফজাল মুনীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান ও এডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার বক্তৃতা করেন।
এর আগে সকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ফিল্ম এলায়েন্স বাংলাদেশ (ফ্যাব) আয়োজিত ‘ফ্যাব ফেস্ট ২০২২’ এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার চায়, দেশে মুক্তচিন্তা বিকশিত হোক। তাঁর সরকার যেসব আইন প্রণয়ন করবে, সেখানে অবশ্যই মানুষের চিন্তা-ভাবনার স্বাধীনতা থাকবে।
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়নি। বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা আমাদের সংবিধানে দেয়া আছে। কোন আইন দ্বারা এই স্বাধীনতা খর্ব করা যাবে না।
-এসআর