আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং মাঝখানে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ব ইজতেমা-২০২৩ এর সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সমন্বয়সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক।
সভায় সরকারি বেসরকারি জনস্বার্থ বিভাগ সমূহের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। গাজীপুর জেলা প্রশাসন, সেনা কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থা, হাইওয়ে পুলিশ, গাজীপুর সিভিল সার্জন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, ডেসকো, তিতাস গ্যাস, ওয়াসা, বিআরটি, ফায়ার সার্ভিস, জনস্বাস্থ্য বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত থেকে তাদের মতামত এবং পরামর্শ উপস্থাপন করেন।
সভায় বিশ্ব ইজতেমা সামনে রেখে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন আকম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ডিএমপি, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরসহ গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে যা যা পদক্ষেপ নেয়া দরকার তা নিতে হবে।
সেনাবাহিনীর প্রতিনিধির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তুরাগনদীতে মুসুল্লী পারপারের জন্য সেনা বাহিনী যে ৫টি পল্টুন ব্রীজ করার প্রস্তাব দিয়েছে তা পরিবর্তে ইজতেমার মুরুব্বীদের চাহিদা অনুযায়ী ৮টি পল্টুন ব্রীজ নির্মাণ করে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সে সক্ষমতা আছে। ইজতেমার দুই পর্বে ছয়দিন পাশের মহাসড়কে রিক্সা এবং মোনাজাতের আগের দিন থেকে পরের দিন পর্যন্ত সকল বাস-ট্রাকসহ সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেন তিনি। এ সময় শাখা সড়কে বিকল্প রাস্তায় এসব যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে জেলার মুসুল্লীদের জন্য নির্ধারিত থাকা পার্কিংজোনে নিরাপত্তা ফোর্স দিতে হবে। টঙ্গী ও আশেপাশের আবাসিক হোটেলে নিবাসীদের জন্য ছবি জাতীয় পরিচয়পত্র নিশ্চিত করতে হবে। রুফটপ ও পেট্রোল ডিউিটির দূরবীন বাড়ানোর প্রস্তাব রাখেন তিনি।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্বাস্য সেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা থেকে এ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করবে। রোগী পরিবহনের জন্য সার্বক্ষণিক ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে।
গাজীপুর সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, তাদের পক্ষ থেকে ইজতেমাস্থলে, কন্ট্রোলরুম, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু করে দেয়া হবে।
জিএমপি কমিশনার বলেন, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সিসি টিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও রুফটপ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এছাড়াও স্পেশালাইডজ টিমসহ প্রতিটি স্তরে সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। অগ্নি নির্বাপনের জন্য প্রতি স্তরে এবার দুটি করে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র রাখা হবে। তুরাগে নৌ-টহল থাকবে।
আরএম/