মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

শান্তিতে পৃথিবীর কাছে রোল মডেল বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, একটি দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের চাইতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেই দিক থেকে বাংলাদেশ হতে পারে পৃথিবীর কাছে রোল মডেল।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে 'বিশেষ আলোচনা সভায়' প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা না থাকলে একটি দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার। পৃথিবীর অনেক দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও শান্তি ও স্থিতিশীলতায় তারা বাংলাদেশ থেকে অনেক পিছিয়ে আছে।

বিগত ১৪ বছরে দেশে অনেকাংশে শান্তি ফিরে এসেছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আঞ্চলিক পর্যায়েও এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

২০৩০ সালে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ৫ ভাগের নিচে কোনো দেশের দারিদ্র্যসীমা থাকলে সেই দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতেও আমরা অনেকখানি এগিয়ে গেছি। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো কাজে দিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা অগ্রসর হয়েছি। মেয়েদের শিক্ষা অনেকাংশে বেড়েছে। আমাদের উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখতে আমাদের নিজস্ব কিছু দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্ব থেকে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমস্যা আসবেই কিন্তু মানুষের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারলে যেকোনো সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব এমনটাই মনে করেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। কোভিড এসেছে। যুদ্ধ চলছে। এসব সমস্যা দূর করতে প্রয়োজন মানুষের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক গ্রাম বাংলার উন্নয়নে কাজ করছে। নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে। আমি মনে করি, আজকের এই বিজয়ের সঙ্গে এসব উন্নয়নের সংযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, যারা দরিদ্র ও অসহায় তাদের গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ দেয়। এই ঋণের টাকায় তারা সাবলম্বী হন। নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। গ্রামীণ ব্যাংক বিশ্ববাসীর কাছে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান একেএম সাইফুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রহিম খান।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ