আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলায় গতকাল শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলায় টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। আগামী কয়েক দিন অঞ্চলভেদে শীতের স্থায়িত্ব বাড়বে।
চলতি সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর রাজশাহীতে ১০, যশোরে ১০.২, সাতক্ষীরায় ১০.৫, রংপুরে ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, বর্তমানে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য বেশ কম। ফলে দীর্ঘমেয়াদি শীত অনুভব হচ্ছে। নদী অববাহিকা, বনাঞ্চল ও জলাধারের আধিক্য অঞ্চলে ঘন কুয়াশার প্রাধান্য থাকবে। শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশা জনজীবনে একটু বেশি প্রভাব বিস্তার করে।
জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনে ও রাতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। গতকাল সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীত বাড়ার কারণে বয়স্করা ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে এবং শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় তীব্র শীতে বাইরের মেঝেতে রেখে চিকিত্সা দিতে হচ্ছে ভর্তি রোগীদের। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৩০ থেকে ৪০ এবং শিশু ওয়ার্ডে ২৫ থেকে ৩৫ নতুন রোগী আসছে প্রতিদিন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় হিমেল বাতাস থাকায় সকালে ও সন্ধ্যায় থাকছে তীব্র শীত। এ ছাড়া সারা দিনই শীত অনুভূত হচ্ছে।
-এসআর