আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মিনহাজ উদ্দীন পড়াশোনা করেছেন কওমি মাদ্রাসায়। তথ্যপ্রযুক্তির ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সফলতাও পেয়েছেন। একই সাথে অন্যদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। আইটি সেক্টরে বিশেষ অবদান রাখায় ‘রাইজিং ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন এ ফ্রিল্যান্সার।
মিনহাজ উদ্দীন কওমি মাদরাসায় পড়াশোনা করেও সময়ের প্রয়োজনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) দক্ষতায় নিজেকে অন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন। মিনহাজ উদ্দীন শেরপুর তেরাবাজার মাদরাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে সফলতার মুখ দেখেছেন।
শেরপুরে তিনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার ও আউটসোর্সার হিসেবে পরিচিত। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আইসিটিতে দক্ষতা উন্নয়নে একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। ‘আইটি টাচ ইন কওমি মাদ্রাসা’ নামে একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে এ পর্যন্ত মাদ্রাসার প্রায় ৭০০ ছাত্রকে বিনামূল্যে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নের ওপর বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা করে আসছেন।
আইটি সেক্টরে বিশেষ অবদান রাখায় ফ্রিল্যান্সার মো. মিনহাজ উদ্দীন ‘রাইজিং ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। ইয়ুথ ক্যারিয়ার ইনিস্টিটিউট এ সম্মাননা প্রদান করে। আর এতে সহায়তা করে আইসিটি বিভাগ। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে গত ৩ ডিসেম্বর দিনব্যাপী এক ইয়ুথ কার্নিভালে ‘রাইজিং ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ মিনহাজের হাতে তুলে দেন প্রধান অতিথি সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
সফল ফ্রিল্যান্সার মিনহাজ বলেন, ‘আমার জীবনের বড় পাওয়া—নিজের উপার্জনের অর্থ দিয়ে পবিত্র হজ পালন করে এসেছি।’ একটি মোটরবাইক কিনেছি, যাতে বিভিন্ন মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারি।
মিনহাজ উদ্দীনের বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়। ১৯৯৭ সালে জন্ম নেওয়া মিনহাজের শৈশব কেটেছে শেরপুরে। ২০১০ সালে শেরপুরের জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসায় (কওমি মাদ্রাসা) কোরআনে হাফেজ হন। একই মাদ্রাসা থেকে ২০১৭ সালে দাওরায়ে হাদিসে (স্নাতকোত্তর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত) উত্তীর্ণ হন।
মাদ্রাসাশিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষাতেও শিক্ষিত হয়েছেন মিনহাজ। শেরপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০১৯ সালে ইসলামি শিক্ষায় স্নাতক (সম্মান) এবং ২০২১ সালে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন মিনহাজ।
-এসআর