সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জামায়াতের সঙ্গে মতভিন্নতা আছে, শত্রুতা নয়: মাওলানা ফজলুর রহমান মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলে আমাদের জীবন আলোকিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা বর্তমানে ‘উলূমুল হাদিস’-এর প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের মতো সম্প্রীতি আশপাশের দেশে খুঁজে পাবেন না: ধর্ম উপদেষ্টা ‘গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব’ নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর’ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: খেলাফত মজলিস

বিশ্বখ্যাত মুহাদ্দিস শায়খ আল-কাত্তানি আর নেই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মরক্কোর বিশ্বখ্যাত মুহাদ্দিস শায়খ আবদুর রহমান বিন আবদুল হাই আল-কাত্তানি ইন্তেকাল করেছেন। তাকে সমকালীন বিশ্বের হাদিসের সনদ ও রিওয়াতে উঁচু মর্যাদার অধিকারী মনে করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল  ১০৬ বছর।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ইন্তেকাল করেছেন তিনি। তার ইন্তেকালে গভীর শোক জানিয়েছেন বিশ্বের ইসলামী ব্যক্তিত্বরা।

শায়খ আবদুর রহমান আল-কাত্তানি (রহ.) ১৯১৯ সালে মোতাবেক ১৩৩৮ হিজরিতে মরক্কোর ফেজ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন বিংশ শতাব্দির প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস শায়খ আবদুল হাই বিন আবদুল কাবির আল-কাত্তানি (রহ.)। শায়খ আবদুর রহমান তাঁর বাবার কাছেই সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, মুওয়াত্তাসহ হাদিসের মৌলিক গ্রন্থগুলো পড়েছেন। তাঁর বড় ভাই শায়খ মুহাম্মদ ও খালু শায়খ জাফর ছিলেন সেই সময়ের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস। তিনি মরক্কোর বিখ্যাত কারইয়াউন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের বড় বড় আলেম ও শায়খদের কাছে পড়াশোনা করেন।

মালেকি মাজহাবের ফিকাহ ও অন্যান্য বিষয়ে খুবই দক্ষ ছিলেন তিনি। তাঁর সূত্রে তিনি তৎকালীন বিখ্যাত মুহাদ্দিসদের সনদ লাভ করেছেন। তিনি ১৮টি সূত্রে ইমাম বুখারি (রহ.) থেকে সহিহ বুখারি বর্ণনা করেন। শায়খ আবদুর রহমান পুরো জীবন নিজ জন্মভূমিতে হাদিস, ফিকাহ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পড়িয়েছেন।

তৎকালীন বিশ্বের বিখ্যাত মুহাদ্দিসদের কাছ থেকে শায়খ আবদুর রহমান আল-কাত্তানি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি যেসব মুহাদ্দিসদের থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন তারা হলেন, শায়খ আবদুস সাত্তার দেহলভি (রহ.), শুয়ািইব আল-জালিলি (রহ.), আবদুল কাদির আল-শিবলি (রহ.), উমর হামদান আল-মাহরাসি (রহ.), আমাতুল্লাহ আল-দেহলভিয়াহ (রহ.), বদরুদ্দিন আল-হাসানি (রহ.)-সহ আরো অনেকে।

জানা যায়, তাঁর তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন হাদিসের মসজিল (সামআত) অনুষ্ঠিত হত। তিনি এতে সারাবেলা কাটিয়ে মধ্য রাত পর্যন্ত অতিবাহিত করতেন। এসব মজলিসে অসংখ্য বার সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, মুওয়াত্তা, মুসনাদে আহমদ, আস-সুন্নান আল-কুবরা, মুসনাদে দারেমি, আশ-শামায়েল ও আল-শিফাসহ এসংখ্য হাদিসের গ্রন্থ পুরোপুরি পড়া করা হয়।

সৌদির আল-কোরআন ফাউন্ডেশনের প্রধান শায়খ ড. আবদুল্লাহ আল-উবাইদ এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘শায়খ আবদুর রহমান মহিউদ্দিন ছিলেন সমকালীন বিশ্বের বরেণ্য আলেম। মহান আল্লাহ তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসের বাসিন্দা করুন। ’

আল-হাবিব সালেম আল-মাশহুর এক টুইট বার্তায় তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বলেন, ‘তিনি ছিলেন হাদিস শাস্ত্রে উঁচু সনদের অধিকারী। মরক্কোর ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান যারা হাদিস বর্ণনায় পুরো জীবন কাটিয়েছেন। ’

মিসরীয় আলেম শায়খ ড. ওয়াসফি আশুর আলি আবু জায়েদ টুইট বার্তায় জানান, ‘শায়খ আল-কাত্তানি বর্তমান সময়ের মুহাদ্দিসদের মধ্যে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ছিলেন। তাঁকে ‘মুসনাদুল আসর’ বা যুগশ্রেষ্ঠ সনদের অধিকারী মনে করা হয়। তাঁর মৃত্যু হাদিসের জগতের শূন্যতা তৈরি করেছে। মহান আল্লাহ তাঁকে তাঁর ইলমের উত্তম প্রতিাদন দিন। ’

-এসআর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ