আওয়ার ইসলাম: ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য হলো যত কঠিন সময়ই আসুক না কেন আল্লাহর উপর ভরসা করে এবং তাঁরই নিকট সাহায্য চায়। গায়রুল্লাহর কাছ থেকে কোন কিছু চায় না।
আল্লাহ তায়ালা নিজে জুলুম করেন না এবং জুলুমকারীকেও পছন্দ করেন না। জুলুমকারীদের জন্য কুরআনে রয়েছে কঠোর হুশিয়ারি।
রাসুলুল্লাহ সা. জুলুম করা থেকে বেঁচে থাকতে বলেছেন। হাদীসে এসেছে রাসুল সা. বলেন, তোমরা জুলুম থেকে বেঁচে থেকো, কেননা জুলুম কেয়ামতের দিন কঠিন অন্ধকার আকার ধারণ করবে। মুসলিম শরিফ: ৬৭৪১
আল্লাহ তায়ালা জুলুমকারীর জুলুম থেকে ঈমানদারদের রক্ষার জন্য দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন।
رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ – وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
অর্থ: হে আমাদের রব! আমাদের উপর অত্যাচারী কওমের শক্তি পরীক্ষা করিও না। আর আমাদেরকে অবিশ্বাসী (জালিমদের) কবল থেকে অনুগ্রহ করে মুক্তি দাও।- সুরা ইউনুছ: আয়াত ৮৫-৮৬।
হযরত ইউনুস তার উম্মতের জালেমের হাত থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে এ দোয়া করেছিলেন। মুমিনদের উচিত প্রত্যেক নামাজের পর আল্লাহর কাছে এ দোয়ার মাধ্যমে জুলুম-অত্যাচার থেকে বেঁচে থাকতে উল্লেখিত দোয়া করা। এছাড়াও সকাল সন্ধ্যা সুরা ফালাক, সুনা নাস ও সুরা ইখলাস পড়া।
আরএম/