আবদুল্লাহ তামিম।। টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত চার দিনের জোড় বিশ্ব ইজতেমার সফলতা কামনা করে শেষ হয়েছে।
আজ রোববার বিশেষ মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এই ইজতেমা।
বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতিমূলক সভা হিসেবে পরিচিত এই জোড় ইজতেমায় এক থেকে তিন চিল্লা সম্পন্ন করেছে এমন মুসল্লিই অংশ নিয়ে থাকেন।
তাবলীগের শীর্ষ মুরব্বিদের ধর্মীয় বয়ান আর ইবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে ময়দানে সময় কাটিয়েছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা। এ ছাড়া আমেরিকা, কানাডাসহ কয়েকটি দেশের মুসল্লিরা এই ইজতেমায় অংশ নেন।
এদিকে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে তিন চিল্লার মুসল্লিদের অবস্থান নেয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে ময়দানের উত্তর পাশে অবস্থিত টিনশেডের একাংশে এ জোড় ইজতেমা শুরু হয়।
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে নির্ধারিত তারিখের এক দিন আগেই শুরু হয়েছিলো জোড় ইজতেমা। গত বৃহস্পতিবার বাদ জোহর ভারতের মাওলানা ইকবালের বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাবলিগ জামাতের (আলমি শুরার তত্বাবধানে) চার দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা।
এর আগে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুক্রবার জোড় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার কথা ছিল। আজ রোববার দুপুরে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।
শুক্রবার বাদ আসর বয়ান করেন বাংলাদেশের তাবলিমের মুরব্বি মাওলানা রবিউল হক। বাদ মাগরিব বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা ভাই তাহের কুরাইশি। মাওলানা ইকবালের বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুশফিক।
মাঠে অবস্থানরত মুসল্লিরা জানান, সাধারণত বিশ্ব ইজতেমার ৪০ দিন আগে জোড় ইজতেমা হয়। এতে তাবলিগের সব সাথি অংশগ্রহণ করতে পারেন না। শুধু তিন চিল্লার সাথিরা এতে অংশ নেন। তাদের মধ্য থেকে কিছু মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমার আয়োজনে মাঠের কাজে যোগ দেন। স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ইজতেমা মাঠের সব কাজ করেন তারা।
আয়োজক কমিটির মুরব্বিরা জানান, ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ভোলা ও টাঙ্গাইল জেলার তিন চিল্লার (৪ মাস সময় লাগানো) সাথিদের নিয়ে এই জোড় শুরু হয়েছে।
আগত মুসল্লিরা ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণের টিনশেডে অবস্থান নিয়েছেন। সন্ধ্যা নাগাদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মুসল্লি নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিয়ে মুরব্বিদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান শুনেন।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ডা. কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বাদ জোহর থেকেই টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আলমি শুরার তত্ত্বাবধানে চার দিনের জোড় শুরু হয়। আজ রোববার মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়। আগামী সোমবার বিদেশি সাথিদের ফ্লাইটের তারিখ নির্ধারিত থাকায় শুক্রবারের পরিবর্তে এক দিন এগিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই জোড় শুরু হয়।’ শুক্রবার বাদ এশা বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, ইজতেমা ময়দানে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকেও পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
উল্লেখ্য, দু’বছর পর এবার দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি এবং মাঝে চারদিন বিরতি দিয়ে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
-এটি