আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মসজিদ আল্লাহর ঘর। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে মিসর সরকার। কায়রোর নতুন প্রশাসনিক অঞ্চলে এটির নির্মাণকাজে সাতশ ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করা হবে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি দেশটির প্রেসিডেন্ট আল-সিসির মুখপাত্র বাসসাম রাদি মসজিদ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট অফিসের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে মসজিদ স্থাপনার নান্দনিক কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন বাসসাম। সেখানে তিনি লিখেছেন, নির্মাণাধীন প্রশাসনিক রাজধানীর মসজিদটি হবে বিশ্বের অন্যতম সর্ববৃহৎ মসজিদ। ১৪০ মিটার উচ্চতার গগনচুম্বী মিনার থাকবে এতে। মসজিদের ভেতরে-বাইরে এক লাখ সাত হাজার মুসল্লি অনায়াসে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, মসজিদ-কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সুবৃহৎ হলরুম থাকবে। নারী-পুরুষদের কোরআন শিক্ষার জন্যও নির্ধারিত সুপরিসর জায়গা থাকবে। এছাড়াও আগতদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সুবিশাল ব্যবস্থা থাকবে। এতে তিন হাজারেরও বেশি গাড়ি রাখা যাবে।
মসজিদ প্রকল্পের খবর প্রকাশের পর মিসরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এ পরিকল্পনাকে অর্থের অপচয় বলেছেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ মহতি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকে আনন্দ প্রকাশ করে লিখেছেন, বিশ্ব দরবারে মিসরের নামকে সমুন্নত করতে এই প্রকল্প দারুণ ভূমিকা রাখবে।
করোনা মহামারীতে মিসরের অর্থনৈতিক দুরবস্থা চলছে। সুচিকিৎসার অভাব ও ক্ষুধার-যন্ত্রণায় মানুষ কঠিন পরিস্থিতি পার করছে। তখন এ ধরনের বৃহৎ পরিকল্পনা বড় ধরনের আর্থিক অপচয়। এমনটা মনে করছে সমালোচকেরা।
মাস খানেক আগে মিসর সরকার ৩২ মিলিয়ন ডলারের কায়রো আই ল্যান্ডমার্ক ঘোষণা করে। পাশাপাশি ২৩ মিলিয়ন ডলারের ট্রেন লাইন প্রকল্পেরও ঘোষণা দেয়। সমালোচকেরা এসব নিয়েও তখন নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন।
মিসরের বৃহত্তর কায়রো অঞ্চল ও সুয়েজ খাল অঞ্চলের মধ্যভাগে গড়ে উঠবে নতুন প্রশাসনিক রাজধানী। এতে জাতীয় সংসদ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের প্রধান কার্যালয় থাকবে। পাশাপাশি থাকবে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসও। এছাড়াও বৃহত্তম পার্ক ও দেশটি সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে দেশটি মসুলিম ঐতিহ্যের দেশ মিসর।
-এটি