আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইহুদি অধ্যুষিত দেশ ইসরায়েলে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। মুসলমান, ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের পবিত্র নগরী জেরুসালেমকে রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে ইসরায়েল৷ ছবিঘরে থাকছে ইসরায়েলের কয়েকটি মসজিদের কথা৷
ওমরের মসজিদ
জেরুসালেমের সেপুলক্রি গির্জার ঠিক পাশেই এই মসজিদ। ১১৯৩ সালে সুলতান আল আফদাল ইবনে সালাহ আদ-দীন আফদাল আলি এই মসজিদ নির্মাণ করেন। বলা হয়, খলিফা ওমর তার জেরুসালেম সফরের সময় এই স্থানে এলে তাকে গির্জায় প্রার্থনা করতে বলা হয়েছিল৷
তিনি তাতে রাজি হননি৷ পরে তার জন্য গির্জার পাশেরই একটি অঞ্চলকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। ১৪৫৮ সালের ভূমিকম্পের পরে মসজিদটির মিনার নির্মাণ হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়৷
এল-জাজার মসজিদ
ইসরায়েলের একর শহরের এল-জাজার স্ট্রিটে অবস্থিত এই মসজিদের আরেক নাম ‘সাদা মসজিদ’, মসজিদে ব্যবহৃত সাদা পাথরের দেওয়ালের কারণে। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা আহমদ পাশা এল-জাজারের নামেই এই রাস্তা ও মসজিদের নামকরণ। ১৭৮১ সালে এই মসজিদ তৈরি হয় বলে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আহমদ পাশা এবং তার পালিত পুত্র সুলাইমান এই মসজিদের পাশেই শায়িত আছেন৷
হাইফা শহরের মাহমুদ মসজিদ
ইসরায়েলের হাইফা শহরে অবস্থিত এই মসজিদটি প্রথম নির্মাণ করা হয় ১৯৩১ সালে৷ পরবর্তীতে সত্তরের দশকে তা পুননির্মাণ করেন। মসজিদটির বৈশিষ্ট্য এর দুটি মিনার, যা প্রায় ৩৫ মিটার উঁচু।
হাসান বেক মসজিদ
১৯১৬ সালে জাফা অঞ্চলে এই মসজিদটি তৈরি করেন তৎকালীন গভর্নর হাসান বে আল-বাসরি৷ ইস্রায়েলের তেল আভিভ জাফার অন্যতম বিখ্যাত মসজিদ।
মাহমুদিয়া মসজিদ
জাফা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি। ১৭৩০ সালে এই মসজিদ তৈরির ফরমান জারি হলেও কাজ শেষ হতে হতে উনিশ শতক পর্যন্ত লেগে যায়। বর্তমান মসজিদটি ১৮১২ সালে তৈরি। তেল তেল আভিভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মসজিদটির চারপাশে রয়েছে নানা ধরনের পণ্যের বাজার।
-এটি