মুযযাম্মিল হক উমায়ের: হজরত সুফিয়ান রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, উমাইয়া নামে শাম দেশের একজন লোক ছিলো। তিনি বনি বাবে সাহম নামাক স্থানে নামাজ পড়তেন। নামাজে কান্না করতেন। চোখের অশ্রম্ন বেয়ে বেয়ে দাড়িতে গড়িয়ে পড়তো।
বর্ণনাকারী বলেন, এই অবস্থার খবর জেনে সেই দেশের আমির তাঁর কাছে চিঠি পাঠালো। চিঠিতে তিনি বললেন, আপনি তো অধিক কান্না করে মুসল্লিদের নামাজ নষ্ট করে দিচ্ছেন। আপনার কান্নার উঁচু আওয়াজে মুসল্লিদের নামাজে সমস্যা হয়। যদি আপনি সামান্য কান্না ও আওয়াজ কমিয়ে দিতেন, তাহলে ভালো হতো।
আমিরের এই কথা শুনে তিনি আবার কান্না শুরু করেন। তারপর বললেন, কেয়ামতের দিনের পেরেশানী আমাকে অধিক কান্না করতে উদ্ভুদ্ধ করেছে। আমি চোখের পানির দ্বারা মাঝেমধ্যে সেই দিনের পেরেশানীকে প্রশমিত করি।
হজরত উমাইয়া রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলতেন, আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য বান্দার চেয়ে বেশি সৌভাগ্যশীল আর কেউ হতে পারে না।
শোনে রাখো! কল্যাণ ও সফলতা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য করার মধ্যেই নিহিত।
শোনে রাখো! আল্লাহ তায়ালার আনুগত্যশীল বান্দাগণই হলেন, দুনিয়া ও পরকালের প্রকৃত বাদশা।
বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাওয়াফ করার সময় এককোণ ধরে কান্না করতেন। কান্না করেই চলতেন। অনেক সময় কান্নার একপর্যায়ে তিনি বেহুশ হয়ে পড়তেন।
সূত্র: আর-রিক্কাতু ওয়াল বুকা
-এসআর