আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ৭৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী আজিমুশ্বান ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ নভেম্বর ও ১৮ নভেম্বর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অর্ধ লক্ষাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন। মুসল্লিদের উদ্দেশে আওলাদে রাসূল সাইয়্যেদ আশহাদ রশিদী নসিহত পেশ করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, ঈমান হেফাজতে প্রত্যেক মুসলমানকে তিনটি কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
এক. প্রতিদিন সকাল-বিকেল জিকিরের আমল করা। জিকির তিন পদ্ধতিতে হতে পারে—
প্রথমত: পুরো দিন থেকে কিছু সময় বের করে বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াতে অভ্যস্ত হওয়া।
দ্বিতীয়ত: প্রতিদিন সকাল-বিকেলর কিছু সময় ইস্তেগফার পাঠ করা। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
তৃতীয়ত: প্রতিদিন সকাল বিকেলর কিছু সময় দরুদ শরীফের আমল করা।
দুই. মাসলাক ও নযরিয়া বিভিন্ন হলেও সকল মুসলমান দ্বীন ও ধর্মের ব্যাপারে এবং জাতি ও দেশের ব্যাপারে এক ও একতাবদ্ধ থাকা। বিশেষ করে আলেম-উলামারা প্রত্যেকে যার যার মাসলাক ও নযরিয়ার দিক থেকে ভিন্ন মতের হতে পারেন বাধা নেই, তবে দ্বীন ও জাতির স্বার্থে ইত্তেহাদকে সমন্নত রাখা উচিত এবং অটল থাকা অপরিহার্য।
তিন. হিংসা-বিদ্বেষ ও অহংকার থেকে দূরে থাকা। আজ মুসলমানদের মধ্যে যেসব অবিচ্ছিন্ন ঘটনা, যে বিভেদ বিশৃঙ্খলা সবকিছুর মূলে রয়েছে হিংসা-বিদ্বেষ ও অহংকার। আমাদের এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে, বিশেষ করে আলেম-উলামাদেরকে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। রব্বে করীম আমাদেরকে বিশেষ করে আমাকে জীবনে চলার পথে এখলাছের সহিত সেই আমগুলো বেশি বেশি করা তাওফীক দান করুন। আমীন।
ভাষান্তর: মাওলানা শেখ খালিদ সাইফুল্লাহ