আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মারুফা নামের একজন জানতে চেয়েছেন, দুআ, তাবীজ এবং জিনের আছরের কারণে তাদবীর করলে হুজুরদের টাকা নেয়া জায়েজ কি না?
উত্তর-
যদি তাবীজ ও তদবীরের মাঝে শরীয়তের খেলাফ কোন বিষয় না থাকে, তাহলে তাবীজ ও তদবীর করে পারিশ্রমিক হিসেবে টাকা নেয়া জায়েজ আছে। তবে অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব উলামায়ে কেরামের এটাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা উচিত নয়। [ইমদাদুল ফাতাওয়া-৩/৪০৩]
এমনিভাবে দুআ করেও টাকা নেয়া জায়েজ আছে। তবে এটাকে পেশা বানানো উচিত নয়।
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَهْطًا، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْطَلَقُوا فِي سَفْرَةٍ سَافَرُوهَا فَنَزَلُوا بِحَيٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ سَيِّدَنَا لُدِغَ فَهَلْ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْكُمْ شَيْءٌ يَنْفَعُ صَاحِبَنَا، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: نَعَمْ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرْقِي وَلَكِنِ اسْتَضَفْنَاكُمْ فَأَبَيْتُمْ أَنْ تُضَيِّفُونَا، مَا أَنَا بِرَاقٍ حَتَّى تَجْعَلُوا لِي جُعْلًا، فَجَعَلُوا لَهُ قَطِيعًا مِنَ الشَّاءِ، فَأَتَاهُ فَقَرَأَ عَلَيْهِ أُمَّ الْكِتَابِ وَيَتْفُلُ حَتَّى بَرَأَ كَأَنَّمَا أُنْشِطَ مِنْ عِقَالٍ، قَالَ: فَأَوْفَاهُمْ جُعْلَهُمُ الَّذِي صَالَحُوهُمْ عَلَيْهِ فَقَالُوا: اقْتَسِمُوا فَقَالَ: الَّذِي رَقَى لَا تَفْعَلُوا حَتَّى نَأْتِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَسْتَأْمِرَهُ فَغَدَوْا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرُوا لَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِنْ أَيْنَ عَلِمْتُمْ أَنَّهَا رُقْيَةٌ، أَحْسَنْتُمْ، اقْتَسِمُوا، وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ بِسَهْمٍ»
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একদল সাহাবী একটি স্থানের দিকে সফরে বের হলেন। পথে আরব বেদুঈনের একজন জনপদে তারা যাত্রা বিরতি করলে তাদের কেউ এসে বললো, আমাদের নেতাকে বিষাক্ত প্রাণী দংশন করেছে। তোমাদের কারো এমন কিছু জানা আছে কি যাতে তার উপকার হয়? সফরকারী দলের একজন বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি ঝাড়ফুঁক করি। কিন্তু আমরা তোমাদের নিকট আতিথেয়তা চেয়েছিলাম, তোমরা তা অস্বীকার করেছো। কাজেই তোমরা আমার জন্য বিনিময় নির্ধারণ না করলে আমি ঝাড়ফুঁক করবো না। সুতরাং তারা এক পাল বকরী দেয়ার চুক্তি করলো। তিনি রোগীর নিকট এসে সূরা ফাতিহা পাঠ করে থুথু ছিটিয়ে দিলেন। সে সুস্থ হয়ে উঠলো, মনে হলো যেন সে বন্দী শিকল থেকে মুক্তি পেয়েছে।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তারা চুক্তি মোতাবেক সব বিনিময় প্রদান করলো। দলের কয়েকজন বললো, এগুলো বণ্টন করে দাও। কিন্তু ঝাড়ফুঁককারী বললো, না, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে এ ব্যাপারে তাঁর পরামর্শ না নেয়া পর্যন্ত এরূপ করবো না। অতঃপর তারা সকলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁকে ঘটনাটি জানালো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ সূরা দ্বারা যে ঝাড়ফুঁক করা যায় তা তোমরা কিভাবে জানলে? তোমরা ভালই করেছো। এগুলো বণ্টন করে নাও এবং তোমাদের সঙ্গে আমাকেও একটি অংশ দিও। [সুনানে আবূ দাউদ-২/৫৪৪, হাদীস নং-৩৯০০,সহীহ বুখারী-২/৮৫৪, হাদীস নং-২২৭৬, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২০১, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২০৬৪]।- লেখাটি আহলে হক মিডিয়া থেকে সংগৃহিত।
ويلتحق به ما كان بالذكر والدعاء المأثور، وكذا غير المأثور مما لا يخالف ما فى المأثور، وأما الرقى بما سوى ذلك، فليس فى الحديث ما يثبته ولا ما ينفيه، وسيأتى حكم ذلك فى كتاب الطب (فتح البارى شرح صحيح البخارى، باب ما يعطى فى الرقية على أحياء العرب بفاتحة الكتاب-4/457)
وفى الحديث أعظم دليل على أن يجوز الأجرة على الرقى والطب (بذل المجهود-5/411)
استيجار ليكتب له تعويذ السهر يصح (الفتاوى الهندية-4/450)
جوزوا الرقية بالأجرة ولو بالقرآن كما ذكره الطحاوى لأنها ليست عبادة محضة بل من التداوى (رد المحتار-9/78، كرتاشى-6/57)
وإنما معناه فى أخذ الأجرة على الرقية بالفاتحة أو غيرها من القرآن فالإمام لا يمنع هذا (عمدة القارى، باب الشرط على الرقية بقطع من الغنم-14/717، 21/264)
ذهب جمهور الفقهاء إلى جواز أخذ الأجرة على التعاويذ والرقى (الموسوعة الفقهية الكويتية-13/34)
-কেএল