আদিয়াত হাসান: মহানবী (সা.)-এর জীবন, আদর্শ ও সুন্নত চর্চার অন্যতম জমায়েত মজলিসে দাওয়াতুল হকের ২৮তম ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামীকাল শনিবার।
জানা যায়, আগামীকাল শনিবার বাদ ফজর মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমির মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসানের আম বয়ানের মাধ্যমে যাত্রাবাড়ীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়ায় (যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসা) শুরু হবে দিনব্যাপী এই আয়োজন।
এতে উপস্থিত থাকবেন হাটহাজারী মাদরাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন প্রফেসর হামিদুর রহমান, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি আরশাদ রাহমানী, শায়খ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া সাত মসজিদ মুহাম্মদপুরের মুফতি মানসুরুল হক, মুফতি ওবায়দুল্লাহসহ হারদুঈ হযরতের বিভিন্ন খোলাফা ও দেশ-বিদেশের শীর্ষ উলামা মাশায়েখগণ।
ইজতেমায় বিষয় ভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি আজান, ইকামত, নামাজ, ওজু, জানাজাসহ সুন্নতের ব্যবহারিক জীবনও চর্চা হবে। এছাড়া বাদ আসর যাত্রাবাড়ি মাদরাসার ফুজালাদের নিয়ে বিশেষভাবে আয়োজিত হবে বয়ানের মজলিস।
সর্বশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা সমাপ্ত হবে। মোনাজাত পরিচালনা করবেন মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমির, গুলশান আজাদ মসজিদের খতিব, কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ অথরিটি আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়ার চেয়ারম্যান, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতি ও যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান।
উল্লেখ্য হাকিমুল উম্মাত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজের পাঁচটি সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করার জন্য ১৯৩৯ সালে মজলিসে দাওয়াতুল হকের সূচনা করেন। ১৯৯৩ সালের ২৪ এপ্রিল হাকিমুল উম্মাতের খলিফা মাওলানা আবরারুল হক হক্কী বাংলাদেশে আসেন। তখন তিনি দাওয়াতুল হকের ১৩টি হালকা গঠন করেন। প্রত্যেক হালকার জন্য একজন আমীর ও একজন নায়েবে আমীর নিধার্রণ করে কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ দেন। তারপর তিনি আল্লামা মাহমুদুল হাসানকে আমীরুল উমারা বা আমীরদের আমীর মনোনীত করেন। তখন থেকেই আল্লামা মাহমুদুল হাসানের তত্ত্ববধানে সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
কেএল/