মুহাম্মদ তানভীর রহমান।। সব দ্বন্দ্ব ভুলে তুরস্কে অনুষ্ঠিত হলো তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের যৌথ ইজতেমা।
গত ২১-২৩ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে তাবলিগের দুই পক্ষের সাথীদের অংশগ্রহণে এ যৌথ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের সর্ববৃহৎ দাওয়াতি কার্যক্রম তাবলিগ জামাতের চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনের দাবি শুরু থেকেই। দু-পক্ষের মুরুব্বীদের মাঝে দফায় দফায় বৈঠকও দৃশ্যমান সফলতা বয়ে আনেনি।
তবে এবার যেন সকল পার্থক্য ঘুচিয়ে ঐতিহ্যের একতা ফিরিয়ে আনার আভাস দিল তুরস্ক। গত ২১-২৩ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ইজতেমার দুপক্ষের সাথীরাই অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায় তুরষ্কের ৭২টি অঞ্চল ছাড়াও বিশ্বের প্রায় ৪২টি দেশের প্রায় সাড়ে ছয় হাজার সাথী এতে যোগদান করেন। ইজতেমায় বয়ান ও নসীহত করেন ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আমন্ত্রিত উভয় পক্ষের মুরুব্বীগণ।
আখেরি বয়ান ও মুনাজাত পরিচালনা করেন আলমি শুরার মুরুব্বী মাওলানা আহমদ লাট। ইজতেমা শেষে ১৭টি তিন চিল্লা (চার মাস) ও ২৩টি চল্লিশ দিনের দাওয়াতি জামাত বের হয়।
এদিকে দুই বছর পর আগামী জানুয়ারির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে দুই ধাপে বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঠিক করেছে সরকার। সংক্ষিপ্ত পরিসরে এই আয়োজন করার নির্দেশনা এসেছে।
এ সংক্রান্তে এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, প্রথম ধাপের ইজতেমা হবে ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি, দ্বিতীয় ধাপে হবে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি।
বিশ্ব তবলিগ জামাতের আমির মাওলানা মোহাম্মদ সাদকে নিয়ে বিরোধের জেরে ও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় গত দুই বছর টঙ্গীর তুরাগ তীরের এই ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২ বছর ইজতেমা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০২৩ এর সংক্ষিপ্ত আকারে করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইজতেমা নিয়ে মতবিরোধ আছে এবং চলছে। পরামর্শ চেয়েছিলাম। জানিয়েছি, গতবারের (২০১৯ সাল) মতো করে হবে। তারা মেনে নিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, প্রতিবছর শেষ কিংবা শুরুতে শীতের সময়ে বিশ্বের ৫০ থেকে ৬০টি দেশের দ্বীনদার মুসলমানদের সমাবেশ ঘটে এই ইজতেমায়। ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১৯৬৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে| সূত্র: মেসেজ টিভি পাকিস্তান
-এটি