যাকওয়ানুল হক চৌধুরী।। মাত্র ছয় মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে আব্দুল্লাহ মানসুর।
১১বছর বয়সী এই বিস্ময় শিশু সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্ঠান হযরত শাহ সুলতান রহ. মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। এখানেই সে পবিত্র কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছে। ২২অক্টোবর শনিবার ঘরোা পরিবেশে আয়োজন করে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তার বাবা মাওলানা আব্দুল গফফার। যিনি দীর্ঘদিনের সুলতানপুর মাদরাসার শিক্ষক।
সুলতানপুর মাদরাসার শিক্ষাসচিব মাওলানা নুমানুল হক চৌধুরী বলেন, মানসুর মাত্র পাঁচ মাসে হিফজ সমাপ্ত করেছে। আলহামদুলিল্লাহ! ছাত্রদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য ছাত্র-উস্তাদের মেহনতের পাশাপাশি সচেতন অভিভাবকের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আব্দুল্লাহ মানসুরের ক্ষেত্রে এটাই হয়েছে। সকল ছাত্রের জন্য উস্তাদের মেহমত সমান পর্যায়ে থাকে, যাতে সবাই আপন লক্ষে পৌঁছায়।
যখন আমি শুনলাম, সে খুব দ্রুত আগাচ্ছে, বেশি পরিমাণে সবক দিচ্ছে, তখন আমি খোঁজ নিয়ে দেখি তাঁর সম্মানিত পিতা মাওলানা আব্দুল গফফার সাহেব বেশ সচেতন। সবোচ্চ সময় যেন সে ক্লাসেই দেয় সেটা চেষ্টা করতেন। এমনকি হিফজে ভর্তি করা পর তাকে নিয়ে কখনো আত্মীয়-স্বজন, নানাবাড়ি বেড়াতে নিয়ে যান নি, যাতে তার যেহেন মুনতাশির না হয়।
ভালো হাফেজ হওয়ার পাশাপাশি মানসুর ভবিষ্যতে বড় আলেম হয়ে দেশ ও জাতির সেবা করুক, সেটা আমরা চাই। আব্দুল্লাহ মানসুরের শিক্ষক হাফিজ মাওলানা হুমায়ূন সাদি বলেন-আমি অনূভুতি প্রকাশ করা মত ভাষা নাই, আল্লাহর দরবারে হাজারো শুকরিয়া জানাই। বাস্তবে মাত্র ছয় মাসে কোরানুল করিম হিফজ সম্পন্ন করা অসাধারণ একটি কাজ। যেটি কেবল আল্লাহর অনুগ্রহেই সম্ভব হয়েছে।
আমি কৃতজ্ঞ সুলতানপুর মাদরাসা ও কর্তৃপক্ষের প্রতি। তারা আমাদের সবকিছুর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুন্দর পরিবেশ তৈরী করে দিয়েছেন, যার ফলে আমাদের কাজ করা সহজ হয়েছে। সর্বোপরি আমি আব্দুল্লাহ মানসুরের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। আল্লাহ তাকে যুগ শ্রেষ্ঠ আলেম, ও লাখো মানুষের হেদায়াতের উসিলা বানিয়ে দিন।
-এটি