আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব কিছুদিন যাবৎ মেহরাব ছেড়ে এক কাতার পিছনে দাঁড়ান। আর মুসল্লিরা মসজিদের দ্বিতীয় কাতারে দাঁড়ান।
বেশ কয়েকদিন যাবৎ এভাবে নামায পড়া হচ্ছে। কিন্তু গত দুদিন আগে এক আগন্তুক বললেন, এভাবে নামায পড়ে তো আপনারা হাদীসে বর্ণিত প্রথম কাতারের ফযীলত থেকে মাহরূম হচ্ছেন। কেননা এটা তো দ্বিতীয় কাতার; প্রথম কাতার নয়। তাই বিষয়টি নিয়ে বেশ দ্বিধায় আছি। তাছাড়া এ কথা শোনার পর অনেক মুসল্লি ইমাম সাহেবকে দোষারোপ করছে।
তাই মুফতী সাহেবের কাছে জানতে চাচ্ছি, হাদীস শরীফে যে প্রথম কাতারের ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, এর দ্বারা কোন প্রথম কাতার উদ্দেশ্য? এবং প্রশ্নোক্ত অবস্থায় আমরা যে নামাযগুলো পড়েছি, তাতে প্রথম কাতারের ছাওয়াব পাব কি না? দয়া করে দলীলসহ বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ইমাম সাহেব প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর কারণে মুসল্লিগণ প্রথম কাতারের ফযীলত থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন- একথা ঠিক নয়। কেননা হাদীস শরীফে নামাযের প্রথম কাতারের যে ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, তার দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইমামের সংলগ্ন পেছনের কাতার। চাই তা মসজিদের চিহ্নিত প্রথম কাতার হোক বা না হোক।
বিখ্যাত হাদীস বিশারদ ইমাম নববী রাহ. বলেন, ‘হাদীস শরীফে যে প্রথম কাতারের ফযীলত বর্ণিত হয়েছে এবং এ ব্যাপারে (মুসল্লীদেরকে) উৎসাহিত করা হয়েছে, তা হল ‘ইমামের সবচে নিকটবর্তী কাতার।’ -শরহে মুসলিম ৪/১৬০
এ প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ. বলেন, ‘প্রথম কাতার হল ইমামের সংলগ্ন পেছনের কাতার, যার সামনে আর কোনো মুসল্লি নেই।’ -রদ্দুল মুহতার, (ফতোয়া শামী) ১/৫৭০
উল্লেখ্য যে, ওজর ছাড়া ইমামের জন্য এভাবে মেহরাব ছেড়ে দাঁড়ানো অনুচিত। ইমামের উচিত সাধারণ অবস্থায় মেহরাবেই দাঁড়ানো।
-উমদাতুল কারী ৫/২৫৫; মিরকাতুল মাফাতীহ ৩/১৫৭; বযলুল মাজহুদ ৪/৩৪৬; মাআরিফুস সুনান ২/২৯৪
-এটি