মাঈনুদ্দীন ওয়াদুদ: জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ইসলামী বইমেলা চলছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে বইপ্রেমীরা ভীড় করছেন মেলায়। ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন। কিনে নিচ্ছেন পছন্দের বই। কেউ আবার প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরছেন বইমেলা। বই উপহার দিচ্ছেন পছন্দের মানুষকে।
লেখকদের উপস্থিতি পরিবেশকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলছে। বইয়ে অটোগ্রাফ নিচ্ছেন আনন্দচিত্তে। সেলফি নিতেও ভুলছেন না। লেখকরাও পাঠকদের পেয়ে আনন্দিত। নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনও হচ্ছে। সবমিলিয়ে জমজমাট এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বইমেলার প্রচলন রয়েছে। তারাও বেসরকারি-সরকারি উদ্যোগে ঘটা করে আয়োজন করে দীর্ঘদিনব্যাপী বইমেলা। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই মেলা নতুন নয়, বহু বছর ধরে চলছে। তবে গত দুবছর যাবত কওমিয়ান কিছু তরুণদের একান্ত সহযোগিতায়, তাদের অনলাইন ও অফলাইন প্রচারণায় বেশ সরব হয়ে উঠেছে ইসলামী বইমেলা। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
তারণ্যের আইডল কিছু আলেম এবছরও মেলাকে প্রাণবন্ত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। যার অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। নতুন অনেকেই উদ্যোগী হচ্ছেন। ছোট ছোট একাধিক সংগঠন নিজেদের ব্যানারে বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতাসহ ছোটো ছোট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে তাদের তৎপড়তা জানান দিচ্ছে।
শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করে মাতিয়ে তুলছেন দর্শকদের। তবে, একুশে বইমেলায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে যে পরিমাণ প্রচারণা ও নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়, মিডিয়া পাড়ার কর্মীদের যে পরিমাণ আনাগোনা চোখে পড়ে তার সিকিভাগও নেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ইসলামী বইমেলায়। এবছর ব্যতিক্রম হিসেবে যা চোখে পড়েছে, লেখকদের জন্য লেখক কর্ণার ও পাঠকদের জন্য তথ্যকেন্দ্র।
ইসলামপ্রিয় মানুষের মাঝে ইসলামী বইমেলা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বইমেলায় জনতার উপচে পড়া ভীড় দেখে আগামীতে আরো বড় পরিসরে আয়োজনের দাবী জানিয়েছেন বোদ্ধামহল, না হয় এই আবেদন হারিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা জমে ওঠুক। কাগজের পাতায় ভর করে ইসলামের সুমহান বাণী পৌঁছে যাক প্রতিটি বিশ্বাসী মুমিনের অন্তরে।
-এএ