আদিয়াত হাসান: শিক্ষার্থীদের দাড়ি রাখার বিষয়ে শর্ত জুড়ে দিয়েছে সিলেটের ‘জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ’।
প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত এক নোটিশে কর্তৃপক্ষ বলছে, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জানানাে যাচ্ছে যে, এখন থেকে যারা দাড়ি রাখতে চাও তাদেরকে অবশ্যই যথার্থ ভাবে (সুন্নাতি দাড়ি রাখতে হবে, এবং স্ব স্ব শ্রেণি শিক্ষকের মাধ্যমে অধ্যক্ষ মহােদয় বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট শ্রেণি শিক্ষক, অ্যাডজুটেন্ট, কো-অর্ডিনেটর, উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষের সাথে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই দাড়ি রাখার অনুমতি পাবে। বাকি সবাইকে (ছেলেদের জন্য প্রযােজ্য) ক্লিন-সেইভ করে প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। উল্লেখ্য যে, কোনাে ফ্যাশন কিংবা স্টাইল হিসেবে দাড়ি রাখা যাবে না।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটির একাদশ (বিজ্ঞান) শ্রেণির ছাত্র নাসিফ রাইয়ান চৌধুরীর দাড়ি রাখার আবেদন পত্রের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে লেখা ছিল, আমি আপনার কলেজের একাদশ শ্রেণির একজন ছাত্র। আমি রাসূল (সা.) এর সুন্নত অনুযায়ী দাড়ি রাখতে ইচ্ছুক। এই ব্যাপারে আমার অভিভাবকের সম্মতি আছে কিন্তু জালালাবাদ ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে দাড়ি রাখতে হলে অনুমতি প্রয়ােজন হয়। অতএব, মহােদয়ের সমীপে প্রার্থনা এই যে, আমাকে দাড়ি রাখার অনুমতি প্রদান করতে আপনার মর্জি হয়।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে মতামত দিয়েছেন গবেষক আলেম, সিলেট কাজীর বাজার মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ। তিনি বলেন, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কৌশল অবলম্বন করে জারিকৃত একটি সার্কুলার অনলাইনে ভাসছে। সার্কুলারটি এক মাস পুর্বের। অনেকেই সার্কুলারটি দেখে কতৃপক্ষের নমনীয়তা ভাবছেন। কিন্তু গভীরভাবে সার্কুলারটি পড়লে প্রতীয়মান হয়, রাসুলুল্লাহ স. এর সুন্নাহ দাড়ি রাখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাই তাদের টার্গেট। শাব্দিক মারপ্যাচের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ জনতার ক্ষোভ দাবিয়ে রাখতে কৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। সার্কুলারে সুন্নাতি দাড়ি রাখার কথা বলা হয়েছে।তবে তা কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে।
তিনি বলেন, একজন মুসলিম আল্লাহ রাসুলের নির্দেশ বাস্তবায়নে কারও তোয়াক্কা করবে না। এটাই সত্যিকার মুসলমানের পরিচয়। অনুমতি প্রার্থনার নির্দেশ দিয়ে ওরা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে। অনুমতি গ্যাড়াকলে পড়ে যাতে কোন ছাত্র দাড়ি রাখায় উৎসাহিত না হয়এটাই তাদের মুল উদ্দেশ্য। ক্লিন শেভের নির্দেশ প্রদান করে আবার ষ্টাইলিষ্ট দাড়ির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ওরা সরলমনা মুসলমানদের ধোকা দিতে চায়। ইসলাম বিদ্বেষী ওদের হীনকর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অনলাইন ও অফলাইনে তীব্র প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে।
কেএল/