আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি বেশি খুশি হলে ৩টি জিনিস দান করেন। সেগুলো হলো- কন্যা সন্তান; মেহমান এবং বৃষ্টি। বর্ষা মৌসুমে অধিক বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি বেশি হলেই অনেকে নানান কথা বলে থাকেন। কিন্তু বৃষ্টির সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে ৬টি করণীয় প্রমাণিত।
প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৃষ্টি বর্ষণ ও বজ্রপাত সম্পর্কে বলেছেন, মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেছেন- ‘আমার বান্দারা যদি আমার বিধান যথাযথভাবে মেনে চলত, তবে আমি তাদের রাতের বেলায় বৃষ্টি দিতাম আর সকাল বেলায় সূর্য (আলো) দিতাম আর কখনও তাদের বজ্রপাতের আওয়াজ শোনাতাম না।’ (মুসনাদে আহমদ)
কয়েকদিন ধরে দেশের আকাশে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিময় এই দিনে আমাদের দিনটিকে কীভাবে সুন্নাহয় ভরিয়ে তুলতে পারি সে বিষয়ে ৬টি বিষয় তুলে ধরেছেন গবেষক আলেম শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বৃষ্টির দোয়া পাঠ করা:
দোয়াটি হলো- اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا “হে আল্লাহ কল্যাণকর বৃষ্টি দাও” (বুখারী: ৬৯১)
অতিবৃষ্টি বা ক্ষতিকর বৃষ্টি হলে এই দোয়া পাঠ করা- اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا، وَلاَ عَلَيْنَا “হে আল্লাহ আমাদের আশপাশে (জনবসতির বাহিরে) বৃষ্টি দাও, আমাদের উপর নয়।’’ (বুখারী: ৯৩৩)
আল্লাহর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত থাকা:
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে এবং ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হলে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘাবড়ে যেতেন যে, এটি আল্লাহর আযাব কিনা। (সহীহ মুসলিম: ১৯৫৭)
বৃষ্টিকে আল্লাহর রহমত বলে অভিহিত করা:
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, প্রিয়নবী সা. যখন বৃষ্টি দেখতেন তখন বলতেন, “এ তো আল্লাহর রহমত।” (সহীহ মুসলিম: ১৯৫৭)
বৃষ্টি-বাদল সংক্রান্ত কুসংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী হওয়া:
প্রিয়নবী সা. হাদীসে কুদসীতে বলেন, “যে বলে, আল্লাহর করুণা ও রহমতে আমরা বৃষ্টি লাভ করেছি, সে হল আমার প্রতি বিশ্বাসী এবং নক্ষত্রের (শক্তির) প্রতি অবিশ্বাসী। আর যে বলেছে, অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের উপর বৃষ্টিপাত হয়েছে, সে আমার প্রতি অবিশ্বাসী এবং নক্ষত্রের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী।” (সহীহ মুসলিম: ৮৪৬)
বৃষ্টির পানি গায়ে লাগানো:
রাসুলুল্লাহ সা. বৃষ্টির পানি গায়ে লাগাতেন। সহীহ মুসলিম: ১৯৫৬
বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়, তাই এ সময়ে দোয়া করা:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “দুই সময়ের দো’আ প্রত্যাখ্যাত হয় না কিংবা কম প্রত্যাখ্যাত হয়। (এক) আযানের সময়। (দুই) বৃষ্টির সময়।” সহীহুল জামে: ৩০৭৮
কেএল/