|| কাউসার লাবীব ||
অফিসে যেতে-আসতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ করতেন মো. এমদাদুল হক (৬৫)। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এসে তিনি আগের বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের সব ভাড়া পরিশোধ করলেন। মো. এমদাদুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইল এলাকায় বসবাস করেন। তিনি দুদুকের অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল।
ট্রেনের আগের ভাড়া পরিশোধকারী মো. এমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দেনা রেখে যতই ভালো কাজ করি না কেন, এই দেনার দায় তো কোনো ভালো কাজ দিয়ে শোধ করার উপায় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সরকারি চাকরির সুবাদে প্রায়শই রাজধানী ঢাকায় ট্রেনে আসা যাওয়া করতাম। এতে অনেক সময় ব্যস্ততা, ভিড় বা সময় স্বল্পতার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটতে পারি নাই। জীবনের শেষ বয়সে এসে আগের ট্রেনের ভাড়া না দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আমি অনুশোচনায় ভুগছিলাম। সেই অনুশোচনা থেকেই আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে এসে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতীর ২ হাজার ৫৩০ টাকার সমমূল্যের আসন বিহীন টিকিট কেটে দায় মুক্তি হলাম।’
মো. এমদাদুল হকের এই নিউজটি ছড়িয়ে পড়লে সবার মতো গবেষক আলেম শায়খ আহমাদুল্লাহকেও আকর্ষিত করে। আওয়ার ইসলামের প্রকাশিত নিউজের স্ক্রিনশটসহ সোশ্যাল মিডিয়া তিনি নিজের মতামত ব্যক্ত করেন।
আজ সন্ধ্যায় শেয়ার করা ওই পোস্টে তিনি লিখেনে, মহান আল্লাহর ভয় এবং আখেরাতের প্রতি ঈমান মানুষের মধ্যে নৈতিকতা ও জবাবদিহিতার বোধ তৈরি করে। এমনটি শত মিডিয়ার প্রচারণা, সিসি ক্যামেরা বা আইন করে তৈরি করা সম্ভব হয় না। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাকওয়া ও আল্লাহভীতি ধারণ করার তাওফিক দিন।
কেএল/