নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল শিক্ষা পদ্ধতিতে নতুন কারিকুলামের অধীনে সিজিপিএ পদ্ধতি চালু করার সাথে বাদ দেয়া হয়েছে ক্যারি অন পদ্ধতি, যা মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও জটিল করে তুলবে। ক্যারি অন সিস্টেমে একজন শিক্ষার্থী প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও নিজ ব্যাচের সঙ্গে শ্রেণিকার্যক্রম চালিয়ে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে উঠে পূর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারতো। নতুন শিক্ষাপদ্ধতি চালুর ফলে একজন শিক্ষার্থী তার ব্যাচের সাথে ক্লাস তো করতে পারবেইনা বরং তার একটি শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হয়ে নিজ ব্যাচমেটদের থেকে পিছিয়ে পরবে। ক্যারি অন সিস্টেম বাতিলের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীর মানসিক চাপ বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের হতাশাগ্রস্ত করে তুলবে এবং সিজিপিএ প্রাপ্তির অসুস্থ প্রতিযোগিতার দিকে ধাবিত করবে। বারবার সমালোচিত হবার পরেও কেন এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা দরকার।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম ও সেক্রেটারী জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এক যৌথ বিবৃতিতে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় পাশ করার জন্যও যেমন পড়াশোনা করতে হয় তেমনি করে গবেষণা ও গভীর জ্ঞান অন্বেষণেও পর্যাপ্ত সময় দিতে হয়। কিন্তু নতুন পদ্ধতির বাস্তবায়ন হলে, মেডিকেলের একজন শিক্ষার্থী জ্ঞান অন্বেষণের চেয়েও যেকোন উপায়ে সিজিপিএ বৃদ্ধির দিকে নজর দিবে। যার ফলে অদক্ষ ডাক্তার তৈরির দ্বার উন্মোচিত হবে।
তারা আরও বলেন, পুরোনো পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় ভালোর জন্য, কল্যাণের জন্য। কিন্তু সার্বিক দিক বিবেচনায় মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থার নতুন এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই বেশী বয়ে নিয়ে আসবে। মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক কল্যাণ বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক সকল দাবী মেনে নিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন বলে আমরা আশাবাদী।
কেএল/