আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ক্রেন কাত হয়ে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি। একইসঙ্গে ঠিকাদারকে শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে চুক্তি বাতিল করে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করার মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা- তা মন্ত্রণালয়ের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সড়ক পরিবহন সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা না হলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার জসীম উদ্দীন মোড়ের দুর্ঘটনার জন্য ঠিকাদারের অবহেলা দায়ী।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সদস্য সচিব সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান।
কমিটি সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনে কারাবন্দি ক্রেন অপারেটর আল আমিন হোসেন হৃদয়সহ প্রায় ২০ জনের জবানবন্দি রয়েছে। কারাফটকে হৃদয়ের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নেওয়া হয়েছে ১০ জন চীনা নাগরিকের জবানবন্দি। তারা তদন্তে মারাত্মক অসহযোগিতা করেছে। সে কারণেই তদন্তে বিলম্ব হয়েছে। এ বিষয়টিও প্রতিবেদনে রয়েছে।
গার্ডার দুর্ঘটনায় ১০ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেফতার হলেও চীনা কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন যেখানে, বিআরটির সেই অংশের ঠিকাদার চায়না গেঝুবা গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড। বিআরটির উড়াল অংশের ঠিকাদার চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান জিয়াংশু প্রভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড।
গত ১৫ আগস্ট উত্তরা জসীমউদ্দীন এলাকায় আড়ংয়ের সামনে ক্রেন দিয়ে একটি গার্ডার ওপরে ওঠানো হচ্ছিল। এ সময় ক্রেন উল্টে সেটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা সাতজনের মধ্যে পাঁচজন নিহত হয়। নিহতরা হলেন রুবেল (৬০), ফাহিমা (৪০), ঝরনা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। বেঁচে যাওয়া দুইজন হলেন নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া মনি।
-এএ