|| আদিয়াত হাসান ||
দেশের সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে মাওলানা আইনুদ্দীন আল রহ. প্রতিষ্ঠিত জাতীয় শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরব। সংগঠনটি যেহেতু ইসলামী সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছে তাই তাদের কাছে মানুষের চাওয়াটাও একটু বেশি। সেই জায়গা থেকে কলরব শিল্পীরা আল্লাহ ও রাসুলের প্রেমে সিক্ত নানান নাশিদ উপহার দিচ্ছেন শ্রোতা ও ভক্তদের।
কলরব বরাবরের মতোই আস্থার জায়গা ধরে রেখে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও প্লাটফর্মগুলোতে বাংলা ইসলামী নাশিদের মাধ্যমে জানান দিচ্ছে মদীনার প্রেম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সংগঠনটির ভক্তের সংখ্যা কয়েক মিলিয়ন।
তবে বিভিন্ন সময় জনপ্রিয় এই ইসলামী নাশিদ ব্যান্ডকে নিয়ে স্যোশাল মিডিয়া শুরু হয় নানা বিতর্ক। সম্প্রতি চলছে কলরব শিল্পীদের চুল-দাড়ি নিয়ে নানা কথা। ‘বয়কট কলরব’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বহু পোস্ট।
পোস্টগুলোতে কলরব শিল্পীদের জুব্বা, চুল-দাড়ি ও গানের নকল করে নাশিদ তৈরির বিষয়ে অভিযোগ করছেন অনেকে।
চলমান এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে নিজের ভেরিফােইড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত জনপ্রিয় নাশিদ শিল্পী আবু রায়হান। এতে জানান, অযাচিত কোনো মডেলের জন্য নয় বরং সুন্নাত বাবরি রাখার ইচ্ছা থেকেই চুল বড় রেখেছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার Vlog-24 এর ছোট্ট একটা জায়গায় পেছনের চুলগুলো বে খেয়ালেই বাতাসে সামনে চলে আসে। সেখান থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে কিছু আবুঝ,নির্বোধ ভাইয়েরা কিছু লাইক শেয়ারের বিকৃত আশায় অযথাই সমালোচনা করে নিজেদের পাপের বোঝা ভারি করছেন। আপনাদেরকে জাস্ট এতোটুকুই বলবো গীবত, আর অপবাদের ব্যাপারে একটু পড়াশুনা করে নিয়েন এবং আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার জন্য প্রস্তুত থাইকেন।’
আরো পড়ুন: সাড়া ফেলেছে আবু রায়হানের ভিন্নধর্মী নাশিদ ‘আনতাল মাওলা’
তার এই পোস্টের কমেন্টে মুফতি মুহিব্বুল্লাহ রাহমানী নামে একজন লিখেছেন, ‘আবু রাইহান! ভাই আমার। কাপড়ে আরেকটু সোজাসাপটা হও। আমি তো চাই, পোশাকে আল আজাদ সাহেবের মত হও। আর হ্যাঁ, গানে যেন বাঁশির আওয়াজ না থাকে।জাযাকুমুল্লাহ খাইরান।’
মাহমুদুল হাসান জালীস নামে একজন লিখেছেন, ‘প্রিয় ভাই! সমালোচকদের সমালোচনায় কান না দিয়ে নিজের কাজে আরো বেশি মনোযোগী হন। মনে রাখবেন বিভিন্ন জায়গায় পোস্ট করে যারা সমালোচনা করে তারা মূলত হিংসা এবং আপনার সফলতা সহ্য করতে পারে না। তাদেরকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই। আপনার আরো সফলতা এবং সমৃদ্ধি কামনা করছি। আশা করি এখন থেকে আরো বেশি গানে মনোযোগী হবেন এবং বেশি বেশি সংগীত আমাদেরকে উপহার দিবেন।’
মুফতী আব্দুর রব ফরিদী নামে একজন লিখেছেন, ‘ভাইজান আপনার কথা ঠিক আছে। কিন্তু কওমী মাদ্রাসার অনেক ছেলেরা লেবাস পোশাকে আপনাদেরকে ফলো করে, তাই আপনাদের আরও সতর্ক হওয়া দরকার।’
আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনার চুলের স্টাইল সুন্নতি বাবরির কোনো ক্যাটাগরিতেই পরে না। রাসুলের শামায়েল ভালোভাবে পড়েন তারপর আইনার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে মিলান।’
আহমাদ শফি নামে একজন লিখেছেন, ‘জি ভাইয়া, আমার পরিচিত যারা আপনাকে নিয়ে ফেসবুকে ট্রল করছে তারাই দেখি আবার মাঝে মাঝে আমার কাছে আসে রায়হান ভাইয়ের কন্টাক্ট নাম্বারের জন্য। আপনাকে মাহফিলে দাওয়াত দিব। তখন বলি, আপনি না তাকে দেখতে পারেন না! তাহলে কেনো? তখন বলেন, আরে আমাদের মাহফিলের জস খ্যাতি কামাইতে হইবো না! এই হলো অবস্থা। এরা হলো দু’মুখো সাপের মত৷ বহুত ভয়ংকর। আল্লাহ হেফাজত করুন প্রিয় ভাইকে।’
কেএল/