নোমান আব্দুল্লাহ।।
নাম ও বংশ পরিচয়:
তার মূল নাম জানা যায়না। উপনাম: উম্মে ওয়ারাকা। তিনি আনসারের কোনো এক গোত্রের ছিলেন। বংশধারা হলো, উম্মে ওয়ারাকা বিনতে আব্দুল্লাহ বিন হারেস বিন উয়াইমির বিন নওফল।
ইসলাম গ্রহণ: হিজরতের পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
যুদ্ধে অংশগ্রহণ: বদর যুদ্ধের সময় তিনি রাসুল সা. এর কাছে যুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুমতি চেয়েছিলেন। যাতে আহতদের সেবাশুশ্রূষা করতে পারেন। রাসুল সা. বললেন, তুমি বাড়িতে অবস্থান করো। আল্লাহ সেখানেই তোমার শাহাদাত দান করবেন।
শাহাদত বরণ: যেহেতু তিনি কোরআন মুখস্থ করেছিলেন, রাসুল সা. তাকে নারী সাহাবিদের ইমাম বানিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি রাসুলুল্লাহ সা. এর কাছে একজনকে মুয়াজ্জিন বানিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন । তাই মুয়াজ্জিন আজান দিলে, তিনি নারীদের নিয়ে তার বাড়িতে নামাজ আদায় করতেন।
রাসুল সা. তার নাম দিয়েছিলেন, 'শাহিদা' ( অর্থাৎ শাহাদত বরণকারিনী)। তার বাড়ির দিকে ইঙ্গিত করে বলতেন, "শাহিদার বাড়িতে চলো।" তিনি রাতে কোরআন তেলাওয়াত করতেন।
একজন দাস ও দাসীকে তিনি মুদাব্বার বানিয়েছিলেন। অর্থাৎ তাদের সাথে এ অঙ্গীকার করেছিলেন যে, তার ইন্তেকালের পর তারা স্বাধীন হয়ে যাবে। তারা এর ফায়েদা লুটতে চাইলো। উমর রা. এর খেলাফতকালে এক রাতে তাকে চাদর ব্যবহার করে নরাধমরা শহিদ করে দিলো। সকালে হজরত উমর রা. সাহাবিদের জিজ্ঞাসা করলেন, আজ খালার কোর আন তেলাওয়াতের আওয়াজ শুনতে পেলামনা। জানিনা তিনি কেমন আছেন।
পরে তার বাড়িতে গিয়ে দেখেন, উম্মে ওয়ারাকা রা. চাদর জড়ানো অবস্থায় পড়ে আছেন। তিনি অত্যন্ত দুঃখিত হলেন। পরে বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুল সত্য বলেছেন।
তারপর উমর রা. মিম্বারে আরোহণ করে নির্দেশ দিলেন, দাস ও দাসী উভয়কে গ্রেফতার করা হোক। তারা ছিলো হারবি। পরে উভয়কে গ্রেফতার করে আনা হলে, উমর রা. তাদের শূলিতে চড়ান। তারা ছিলো প্রথম, যাদের মদিনায় শূলিতে চড়ানো হয়েছিলো।
সূত্র: সুনানে আবু দাউদ, মুজামুল কাবির-তাবারানি
-এটি