সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত ফেনী সদর উপজেলায় জামায়াতের রুকন সম্মেলন

অ্যাটাচ বাথরুমে কি দোয়া-কালাম পড়া যাবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বর্তমান যুগের বাথরুমগুলো পূর্বেকার জমানার বাথরুম থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ।বাথরুমকে এখন ওয়াশরুম বলা হয়ে থাকে। এখানে বেসিন, অজু, গোসল, টয়লেট করা সবকিছুর ব্যবস্থা থাকে। এমনকি সাজগোজের জিনিস বা প্রসাধনীও এখানে থাকে। উন্নতি ও আধুনিকতার এই যুগের বাথরুমগুলো অত্যন্ত পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকে।

এমনকি বাথরুমগুলো দেখলে নিজের ঘরের একটি ছোট কামরার মত পরিপাটি মনে হবে। রুচিশীলরা তো নিজের ঘর থেকেও বাথরুমকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রতি যত্নশীল হয়।

তাই আমার জানার বিষয় হল ,বাথরুম যদি পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন থাকে, ময়লা ও দুর্গন্ধ না থাকে,পেশাব -পায়খানা করার পর পর্যাপ্ত পানি ঢালার কারণে কমোডে নাপাকি দেখা না যায় এবং দুর্গন্ধ না থাকে, হাই কমোড হলে পর্যাপ্ত পানি ঢালার পর ঢাকনা বন্ধ করে রাখা হয় তাহলে ঐ অবস্থায় বাথরুমে ওযু করার সময় ওযুর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা ও ওযুর আগে পরে হাদিসে বর্ণিত দোয়া সমূহ পড়া যাবে কি? টয়লেট করার আগে- পরের দোয়া গুলো বাথরুমে পড়া যাবে কি? অনেকেই বলে থাকেন বাথরুমের ভেতর দোয়া -কালাম পড়ার জন্য জরুরি হল ওযু-গোসলখানা এবং টয়লেটের মাঝখানে দেয়াল থাকা অথবা পর্দার ব্যবস্থা থাকা। আবার কেউ কেউ বলে থাকেন অজু আরম্ভ করার পূর্বে বাথরুম থেকে বের হয়ে যাবে।

বিসমিল্লাহ পড়ে আবার ঢুকবে এবং অজু বা গোসল করে বাথরুম থেকে বের হয়ে অবশিষ্ট দোয়াগুলো পড়বে। জানা কথা, এটা অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে বা কারো পক্ষে সম্ভবই হবে না ।যেমন মাদ্রাসার ছাত্ররা যেখানে সিরিয়াল রক্ষা করে ওযু-গোসল করে থাকে তাদের পক্ষে এরূপ করা আদৌ সম্ভব নয়। দয়া করে এ বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানালে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।

নিবেদক
মাহদী হাসান
মুরাদনগর কুমিল্লা

উত্তর হ্যা,বাথরুম যদি পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন থাকে, ময়লা ও দুর্গন্ধ না থাকে,পেশাব পায়খানা করার পর পর্যাপ্ত পানি ঢালার কারণে কমোডে নাপাক দেখা না যায় এবং দুর্গন্ধ না থাকে, হাই কমোড হলে পর্যাপ্ত পানি ঢালার পর ঢাকনা বন্ধ করে রাখা হয় তাহলে ঐ অবস্থায় বাথরুমে ওযু করার সময় ওযুর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা ও ওযুর আগে- পরে হাদিসে বর্ণিত দোয়া সমূহ পড়া যাবে।

টয়লেট করার আগে -পরের দোয়া গুলো ও কমোড থেকে সরে এসে গোসলখানার অংশে পড়া যাবে। কারণ পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশগত অবকাঠামোর দিক থেকে বর্তমান যুগের বাথরুম গুলো আগের জমানায় নির্মিত বায়তুল খলা থেকে অনেক ভিন্ন ।তা সত্ত্বেও সে জমানায় নির্মিত বাইতুল খালাগুলোতে দোয়া কালাম পড়ার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়েছে তা সর্বসম্মত নয় বরং সামনের আলোচনা থেকে স্পষ্ট হবে যে, সে বিষয়ে সাহাবা ,তাবেঈন, তাবে তাবেঈন এবং মুজতাহিদ ইমামগণের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।তাই কোন অবস্থাতেই বাথরুমে দোয়া কালাম পড়া যাবে না এভাবে দৃঢ়তার সাথে বলা ঠিক হবে বলে মনে হয় না বরং স্থান-কাল পাত্র ভেদে যুগের জরুরত ও প্রয়োজনীয়তা কে সামনে রেখে, বর্তমান সময়কার মানুষের রুচি ও মেযাজের দিকে লক্ষ্য রেখে, জনসংখ্যার অধিক্যতা ও জায়গার স্বল্পতাসহ মানুষের বহুমাত্রিক সীমাবদ্ধতার প্রতি দৃষ্টি রেখে এ বিষয়ে কিছুটা শিথিলতা অবলম্বন করা যথার্থ হবে বলে মনে হয। এটা স্বীকৃত যে, যুগ চাহিদার প্রেক্ষিতে শরীয়তের শাখাগত বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আসাটাই স্বাভাবিক।

যেমন হাদিসের মধ্যে গোসল খানায় পেশাব করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা এসেছে কিন্তু পরবর্তীতে ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন ,যেহেতু ওই যুগে গোসলখানা কাঁচা মাটি দ্বারা তৈরি ছিল এজন্য সেখানে পেশাব করলে সহজে পাক করা যেত না।বর্তমানে যেহেতু তা টাইলস ইত্যাদি দ্বারা তৈরি করা হয় তাই কেউ গোসলখানায় পেশাব করে যদি পানি প্রবাহিত করে দেয় তাহলে তা পাক হয়ে যাবে।এতে সে গুনাগার ও হবে না।

আবদুল্লাহ্ বিন মুগাফ্‌ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ لاَ يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّهِ فَإِنّ عَامَّةَ الْوَسْوَاسِ مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَاجَهْ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ مُحَمَّدٍ الطَّنَافِسِيَّ يَقُولُ إِنَّمَا هَذَا فِي الْحَفِيرَةِ فَأَمَّا الْيَوْمَ فَلاَ ‏.‏ فَمُغْتَسَلاَتُهُمُ الْجَصُّ وَالصَّارُوجُ وَالْقِيرُ فَإِذَا بَالَ فَأَرْسَلَ عَلَيْهِ الْمَاءَ لاَ بَأْسَ بِهِ ‏.‏

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন তার গোসলখানায় পেশাব না করে। কেননা তা থেকেই যাবতীয় সন্দেহের উদ্রেক হয়। ১/৩০৪

আবদুল্লাহ্ ইবনে মাজাহ (রহঃ) বলেন, আমি মুহাম্মাদ বিন ইয়াযীদ (রহঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি আলী বিন মুহাম্মাদ আত-তানাফিসী (রহঃ) কে বলতে শুনেছেন, এ নির্দেশ সেই সময়ের যখন গোসলখানা কাঁচা ছিল। যেহেতু বর্তমানকালে গোসলখানা ইট ও চুনা দ্বারা নির্মিত হয়। তাই যদি কেউ পেশাব করার পর সে সেখানে পানি ঢেলে দেয়, তবে তাতে কোন দোষ নেই।

তাছাড়া বাথরুমে দোয়া পড়া যাবেনা এটা অকাট্য কোন হারাম বিষয় নয় বরং উত্তম বা অনুত্তমের বিষয় তাও আবার মতানৈক্যপূর্ণ। এদিকে দৃষ্টিপাত করলেও বিষয়টি হালকা ও শিথিল হবে বলে মনে হয়।

এছাড়া বর্তমানে এর অনুমতি না হলে এই সমাজের প্রায় মানুষই বিশেষ করে যারা শহরাঞ্চলে থাকে তাদের সিংহভাগই এটাচ বাথরুমে অযু -গোসল ইত্যাদি সেরে থাকে , তাদের জন্য ওযু -গোসল করাকালীন হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলোর উপর আমল করা অনেকাংশেই সম্ভব হবেনা। এমনকি আমাদের মাদ্রাসাগুলোতে এখন অ্যাটাচ বাথরুমে অজু - গোসল করতে হয় তাদের পক্ষে ও সম্ভব হবেনা এবং বিকল্প ব্যবস্থা ও পদ্ধতি যা প্রশ্ন উল্লেখ করা হয়েছে তা অনেকটাই কষ্টসাধ্য বা অনেকের পক্ষে সম্ভবই নয়।

হয়তো এসব দিক বিবেচনা করে সমকালীন ও নিকট অতীতের গ্রহনযোগ্য অনেক মুফতিয়ানে কেরাম অ্যাটাচ বাথরুমে দোয়া কালাম পড়তে পারবে বলে ফতোয়া দিয়েছন। যেমন ফাতাওয়া দারুল উলুম জাকারিয়া এর রচয়িতা মুফতি রেজাউল হক সাহেব হাফিযাহুল্লাহ এবং আহসানুল ফাতাওয়ার মুফতি রশিদ আহমদ সাহেব রহ কিতাবুল মাসায়েল এর রচয়িতা মুফতি সালমান মানসুরপুরী হাফি.

নিচে হানাফী মাযহাবের বক্তব্য উল্লেখ করার পর আমাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে প্রমাণসমূহ অনুবাদসহ তুলে ধরব। ইনশাআল্লাহ

আল্লামা হাসকাফী রহ.বলেন: وسننه - - - والبداءة بالتسمية قبل
الاستنجاء وبعده الا حال انكشاف وفي محل نجاسة فيسمي بقلبه
অর্থাৎ ওযুর সুন্নত সমূহ থেকে অন্যতম একটি সুন্নত হল ইস্তিঞ্জার আগে এবং পরে বিসমিল্লাহ বলা। তবে সতর খোলা অবস্থায় এবং নাপাক স্থানে মুখে উচ্চারণ করে বিসমিল্লাহ বলবে না বরং দিলে দিলে বলবে।
আল্লামা ইবনে আবিদীন শামী রহ.উক্ত এবারতের টিকায়
উল্লেখ করেন:
قوله( الا حال انكشاف) الظاهر ان المراد انه يسمي قبل
رفع ثيابه ان كان في غير المكان المعد لقضاء الحاجة والا فقبل دخوله فلو نسي فيها سمى بقلبه ولا يحرك لسانه تعظيما لاسم الله تعالى

অর্থাৎ দেহ থেকে কাপড় খোলার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলবে যদি সে পেশাব- পায়খানা করার জন্য প্রস্তুতকৃত জায়গায় ইস্তিঞ্জা না করে। আর পেশাব -পায়খানার জন্য প্রস্তুতকৃত স্থানে অর্থাৎ বায়তুল খলায় জরুরত পুরা করলে সেখানে প্রবেশের পূর্বে বিসমিল্লাহ বলবে। বিসমিল্লাহ না বলে বাইতুল খলায় প্রবেশ করে ফেললে দিলে দিলে বিসমিল্লাহ বলবে, আল্লাহর নামের সম্মান প্রকাশার্তে মুখে উচ্চারণ করে বিসমিল্লাহ বলবেনা। ফাতাওয়া শামী ১/২৪২(মাকতাবায়ে আশরাফিয়া) হাশিয়াতুত তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ পৃ: ৫১

আর এটা জানা কথা যে,এটাচ বাথরুমের পুরো অংশটাই পেশাব-পায়খানা করার জন্য নির্ধারিত থাকে না বরং এর কিছু অংশ পেশাব- পায়খানা করার জন্য বরাদ্দ থাকে আর বাকি অংশ ওযু- গোসল ও কাপড় ধোয়া ইত্যাদির জন্য বরাদ্দ থাকে। তাই আল্লামা শামী রহ.এর উক্ত এবারতের দাবি অনুপাতে আমরা বলতে পারি, অ্যাটাচ বাথরুমের গোসল খানার অংশে জিকির ও দোয়া ইত্যাদি করা যাবে। যে অংশে কমোড ইত্যাদি থাকে সেখানে তা পারবে না।

،وفي مسألتنا المکان کلہ غیر معد للخلاء بل المعد لہ ھو البعض من ذلک وھو ممتاز عن الآخر، وقال فی الفتاوی الھندیة :قال عین الأئمة الکرابیسي:لا تکرہ الصلاة في بیت فیہ بالوعة کذا فی القنیة(فتاوی عالمگیری قدیم ۵: ۳۱۵، مطبوعہ: مکتبہ زکریا

(উল্লেখ্য যে,সংশ্লিষ্ট মাসালায় ইমাম আবু হানিফা রহ. ইমাম আবু ইউসুফ রহ.ইমাম মুহাম্মদ রহ. ইমাম যুফার রহ.ও ইমাম হাসান ইবনে যিয়াদ রহ.প্রমুখ ইমামদের থেকে সরাসরি কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদি কারো দৃষ্টিগোচর হয় তাহলে আমাকে জানালে অনেক উপকৃত হবো।)

আমাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে প্রমাণসমূহের বিস্তারিত আলোচনা

সংশ্লিষ্ট মাসআলাটি মতানৈক্যপূর্ণ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রা. ইব্রাহিম নাখাঈ রহ. আমের শাবী রহ. (এক বর্ণনা অনুযায়ী) মুহাম্মদ ইবনে সীরীন রহ.ইমাম মালেক ইবনে আনাস রহ.এবং (এক রেওয়ায়াত অনুযায়ী)আহমদ ইবনে হাম্বল রহ.এর মতানুসারে বাইতুল খলায় দোয়া-কালাম পড়া মাকরুহ ছাড়াই জায়েয।

১. আল্লামা মাহমুদ সুবকী রহ.বলেন: قال العازرمى قلت للشعبى أعطس وأنا فى الخلاء أحمد الله؟ قال لا حتى تخرج, فأتيت النخعى فسألته عن ذلك فقال لى احمد الله, فأخبرته بقول الشعبى, فقال النخعى : الحمد يصعد ولايهبط
: وروى ابن وهب أن عبد الله بن عمرو بن العاص كان يذكرالله تعالى فى المرحاض, )
আজরেমী থেকে বর্ণিত,আমি ইমাম শাবীকে জিজ্ঞেস করলাম, বাইতুল খলায় থাকা অবস্থায় হাঁচি আসলে এর উত্তরে আলহামদুলিল্লাহ বলতে পারব কি? তিনি জবাবে বললেন সেখান থেকে বের না হয়ে বলতে পারবে না । তখন আমি ইব্রাহিম নাখাঈর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে বললেন তুমি আলহামদুলিল্লাহ বলবে। আমি তাকে শাবীর কথা বললে তিনি বললেন, আল্লাহর প্রশংসা উপরের দিকে উঠে যায় নিচে নামে না।

ইবেনে ওয়াহাব থেকে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রা. বাইতুল খলায় আল্লাহর জিকির করতেন।
আল মানহালুল আযবুল মাওরুদ শারহু সুনানে আবী দাউদ ১/৩১

২. মালেকি মাযহাবের প্রসিদ্ধ ফকিহ কাজী ইয়ায রহ. বলেন

وقد اختلف السلف والعلماء فى هذا الحديث «كان إذا دخل الخلاء»، فذهب

بعضهم إلى جواز ذكر الله فى الكنيف وعلى كل حال، ويحتج قائله بهذا وبحديث ذكر النبى صلى الله عليه وسلم على كل أحيانه ، وبقوله : { إِلَيْهِ يصعَدُ الكَلِمُ الطَّيِّب}.
وهو قول النخعي والشعبي وعبد الله بن عمرو بن العاص وابن سيرين ومالك بن أنس، وروي كراهيةُ ذلك عن ابن عباس وعطاء والشعبي وغيرهم.

অর্থাৎ كان اذا دخل الخلاء, এই হাদিসের ব্যাপারে উলামায়ে কেরাম এবং পূর্বসূরীগণ মতানৈক্য করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বাইতুল খলা এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহর নাম নেওয়া কে জায়েয বলেছেন এবং নিন্মুক্ত হাদিস ও আয়াত দ্বারা দলিল দিয়েছেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদায় জিকির করতেন। আল্লাহ এরশাদ করেন { ভালো কথা তাঁরই নিকট পৌঁছে।]

আর এটাই ইব্রাহিম নাখাঈ র.,আমের শাবী র.আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রা. মুহাম্মদ ইবনে সীরীন র.মালেক বিন আনাস র. এর অভিমত।

অবশ্য আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসরা. আতা ইবনের আবী রাবাহ র. এবং আমের শাবী র.এর (অন্য বর্ণনায় ) মতে মাকরুহ ।

ইকমালুল মু`লিম ২/২৩০

৩. ইবনে আবী শাইবা রহ. তার প্রসিদ্ধ কিতাব মোসান্নাফে দুটি অধ্যায় কায়েম করেছেন

প্রথম অধ্যায়, বাইতুল খলায় থাকা অবস্থায় অথবা স্ত্রী সহবাসের সময় আল্লাহর নাম নেওয়া যাবে কিনা? এ অধ্যায়ে তিনি নিষেধাজ্ঞা সংবলিত হাদিস উল্লেখ করেন। তার পর নিম্নোক্ত হাদিসগুলো উল্লেখ করেছেন
حدثنا وكيع قال حدثنا سفيان عن عطاء عن أبي هارون الأسلمي عن أبيه عن كعب قال: قال موسى عليه السلام: أي رب أقريب أنت فأناجيك، أم بعيد فأناديك؟ قال: يا موسى أنا جليس من ذكرني، قال: يا رب فإنا نكون من الحال على حال نعظمك أو نجلك أن نذكرك عليها، قال: وما هي؟ قال: الجنابة والغائط. قال: يا موسى أذكرني على كل حال.
কাবে আহবার থেকে বর্ণিত, মুসা আলাইহিসসালাম আল্লাহকে জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি অতি নিকটে? ফলে আপনার সাথে আমাকে নিম্ন স্বরে কথোপকথন করতে হবে নাকি আপনি দূরে ? যার কারণে আপনাকে উচ্চ আওয়াজে ডাকতে হবে। উত্তরে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন ,আমাকে যে স্মরণ করে আমি তার সঙ্গে থাকি। প্রতিউত্তরে মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, আমরা অনেক সময় এমন অবস্থায় থাকি যখন আপনার পবিত্র নাম নিতে সংকোচ বোধ করি ।আল্লাহ বললেন কোন সে অবস্থা ? উত্তরে মুসা আলাইহিস সালাম বললেন নাপাকি এবং পায়খানা করা অবস্থায় ।আল্লাহ বললেন হে মুসা তুমি আমাকে সর্ব অবস্থায় স্মরণ করো।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২/৬৩-৬৪

দ্বিতীয় অধ্যায়
ثم بوب 2/67: الرجل يعطس وهو على الخلاء
{বাইতুল খলায় থাকা অবস্থায় হাঁচি আসলে জবাবে কি করনীয়} এই অধ্যায়ে নিম্নোক্ত হাদিস গুলো উল্লেখ করেছেন।

حدثنا ابن إدريس عن حصين عن الشعبي في الرجل يعطس على الخلاء، قال يحمد الله.
حدثنا ابن إدريس عن أبيه عن منصور عن إبراهيم قال: يحمد الله فإنه يصعد.
حدثنا ابن علية عن ابن عوف عن محمد سئل عن الرجل يعطس في الخلاء؟ قال: لا أعلم بأسا بذكر الله.
حدثنا ابن علية عن شعبة عن أبي إسحاق في الرجل يعطس في الخلاء، قال: قال أبو ميسرة: ما أحب أن أذكر الله إلا في مكان طيب، قال: قال منصور: قال إبراهيم: يحمد الله.
حدثنا يزيد بن هارون قال: أنا قزعة بن سويد قال: سألت ابن أبي مليكة عن الرجل يعطس وهو على الخلاء؟ قال: يحمد الله.

১.আমের শাবীকে জিজ্ঞেস করা হলো বায়তুল খলায় থাকা অবস্থায় যার হাঁচি আসে সে উত্তরে কী বলবে? তিনি বললেন সে আলহামদুলিল্লাহ বলবে।
২.ইব্রাহিম নাখাঈকে ও অনুরূপ প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন আলহামদুলিল্লাহ বলবে। কেননা তা আসমানে আল্লাহ দরবারে পৌঁছে যায়।
৩.মুহাম্মদ ইবনে সীরীনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন আল্লাহর নাম নেওয়াতে আমি কোন সমস্যা দেখছি না।
৪. আবু ইসহাক কে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আবু মায়সারা বলেন পবিত্র স্থানেই আল্লাহর নাম নেওয়া কে আমি পছন্দ করি।
পক্ষান্তরে মানসুর থেকে বর্ণিত, ইব্রাহিম নাখাঈ বলেছেন ওই অবস্থায়ও সে আলহামদুলিল্লাহ বলবে।
৫.ইবনে আবু মুলাইকাকে ও অনুরূপ প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বললেন আলহামদুলিল্লাহ বলবে।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২/৬৭
৪.
ইবনু দাকীকিল ঈদ রহ.বলেন

وقال ابن دقيق العيد في إحكام الأحكام مع حاشية الصنعاني1/225 :
وذكر الله مستحب في ابتداء قضاء الحاجة؛ فإن كان المحل الذي تقضى فيه الحاجة غير معد لذلك - كالصحراء مثلا - جاز ذكر الله في ذلك المكان.
وإن كان معدا لذلك - كالكُنُف - ففي جواز الذكر فيه خلاف بين الفقهاء، فمن كرهه فهو محتاج إلى أن يؤول قوله «إذا دخل» بمعنى إذا أراد؛ لأن لفظة «دخل» أقوى في الدلالة على الكنف المبنية منها على المكان البراح، أو لأنه قد تبين في حديث آخر المراد حيث قال صلى الله عليه و سلم:« إن هذه الحشوش محتضرة فإذا دخل أحدكم الخلاء فليقل..» الحديث.
وأما من أجاز ذكر الله تعالى في هذا المكان: فلا يحتاج إلى هذا التأويل ويحمل «دخل» على حقيقتها.
পেশাব-পায়খানা করার শুরুতে আল্লাহর নাম নেওয়া মুস্তাহাব। যে স্থানে পেশাব-পায়খানা করা হয় তা পেশাব পায়খানার উদ্দেশ্যেই প্রস্তুত করা না হয়ে থাকলে (যেমন খোলা ময়দান হলে) সেখানে আল্লাহ নাম নেওয়া জায়েয আছে। আর পেশাব পায়খানার জন্য প্রস্তুত করা হয়ে থাকলে (যেমন বাইতুল খলা) সেখানে আল্লাহর নাম নেওয়া যাবে কি যাবে না এ ব্যাপারে ফকিহগণের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। যাদের মতে বায়তুল খালায় আল্লাহর নাম নেওয়া মাকরুহ তারা اذا دخل(যখন প্রবেশ করবে) এর অর্থ করেন اذا اراد ان يدخل (যখন প্রবেশ করার ইচ্ছা করবে)।………আর যারা বাইতুল-খলায় আল্লাহর নাম নেওয়া কে জায়েয মনে করেন তারাدخل শব্দের মৌলিক অর্থই উদ্দেশ্য নেন অর্থাৎ বায়তুল খালায় প্রবেশ করার পর দোয়া পড়বে।
ইহকামুল আহকাম ১/২২৫
৫.
ظاهر قوله «ولا يتكلم» الإطلاق فشمل: رد السلام وحمد العاطس وإجابة المؤذن والقراءة وغير ذلك، قال الإمام أحمد: لا ينبغي أن يتكلم. وكرهه الأصحاب، قاله في الفروع.
وأما رد السلام فيكره، بلا خلاف في المذهب..
وأما حمد العاطس، وإجابة المؤذن، فيحمد، ويجيب بقلبه، ويكره بلفظه، على الصحيح من المذهب، وعليه الأصحاب.
وعنه لا يكره، قال الشيخ تقي الدين: يجيب المؤذن في الخلاء.

পেশাব-পায়খানা করা অবস্থায় (কথা বলবে না )বক্তব্যের ব্যাপকতার মধ্যে সালামের উত্তর প্রদান, হাচির উত্তরে আলহামদুলিল্লাহ বলা, মোয়াজ্জিনের আযানের জবাব দেওয়া, কুরআন কারীম তেলাওয়াত করা ইত্যাদি সবাই অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ এগুলো করা যাবে না।ইমাম আহমদ র.বলেন বাইতুল খলায় কথা বলা অনুচিত। হাম্বলি মাযহাবের অন্যান্য ফকীহগণ কথা বলা কে মাকরূহ বলেছেন। আর সালামের উত্তর প্রদান কে সকলেই মাকরুহ বলেছেন । হাঁ দিলে দিলে হাঁচির জবাবে আলহামদুলিল্লাহ বলতে পারবে, এবং মোয়াজ্জিনের আজানের জবাব ও দিতে পারবে।মুখে উচ্চারণ করা মাকরুহ। এটাই মাযহাবের সঠিক বক্তব্য এবং মাযহাবের অন্যান্য ফকিগণও এরূপ মত পোষণ করেন । তবে ইমাম আহমদ থেকে আরেকটি বর্ণনা মতে মাকরূহ হবে না।
শায়েখ তকিয়ুদ্দিন রহ.বলেন, বাইতুল খলায় আযানের জবাব দিতে পারবে।
আল ইনসাফ ১/১৯১

৬.
ইমাম কুরতুবি রহ. বলেন:
قوله تعالى: (الذين يذكرون الله قياما وقعودا وعلى جنوبهم) ذكر تعالى ثلاث هيئات لا يخلوا ابن آدم منها في غالب أمره، فكأنها تحصر زمانه.
ومن هذا المعنى قول عائشة رضي الله عنها:« كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يذكر الله على كل أحيانه».أخرجه مسلم.
فدخل في ذلك كونه على الخلاء وغير ذلك.
وقد اختلف العلماء في هذا، فأجاز ذلك عبد الله بن عمرو وابن سيرين والنخعي، وكره ذلك ابن عباس وعطاء والشعبي.
والاول أصح لعموم الآية والحديث.
قال النخعي: لا بأس بذكر الله في الخلاء فإنه يصعد.
المعنى: تصعد به الملائكة مكتوبا في صحفهم، فحذف المضاف.
دليله قول تعالى: (ما يلفظ من قول إلا لديه رقيب عتيد )، وقال: (وإن عليكم لحافظين كراما كاتبين).
ولأن الله عزوجل أمر عباده بالذكر على كل حال ولم يستثن، فقال: (اذكروا الله ذكرا كثيرا) وقال: (فاذكروني أذكركم )، وقال: (إنا لا نضيع أجر من أحسن عملا )فعم. فذاكر الله تعالى على كل حالاته مثاب مأجور إن شاء الله تعالى...

আল্লাহ তালার বানী[ নিশ্চয়ই আসমান জমির সৃষ্টিতে ওইসব জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে যারা আল্লাহর জিকির করে থাকে দাঁড়িয়ে বসে এবং পার্শ্বদেশে শুয়ে।( সূরা আলে ইমরান ১৯১)

ইমাম কুরতুবী উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, আল্লাহ তাআলা এই আয়াতে তিনটি অবস্থা (দাঁড়ানো, বসা ও শুয়া) এর বর্ণনা দিয়েছেন ।আদম সন্তান সাধারণত এই তিনটির কোন একটির মধ্যেই থাকে। আল্লাহ তাআলার এই বাণী যেন আদম সন্তানকে এই তিন অবস্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে।আর এই মর্মটিই ভিন্ন আঙ্গিকে আম্মাজান আয়েশা রা.থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা আল্লাহর নাম স্মরণ করতেন। (মুসলিম শরীফ)

বায়তুল খালায় অবস্থান করাও এই তিন অবস্থার এক অবস্থা।( তাই সেখানেও আল্লাহর নাম নেওয়া যাবে ।) বাইতুল খলায় আল্লাহর নাম নেওয়ার ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা.মুহাম্মদ ইবনে সিরিন, ইব্রাহিম নাখাঈ তা তা জায়েয আখ্যা দিয়েছেন। পক্ষান্তরে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.আতা ইবনে আবি রাবাহ আমের শাবী মাকরুহ বলেছেন। ইমাম কুরতুবী বলেন ,আমার মতে প্রথম মতটি অধিক সঠিক ।আয়াত এবং হাদিসের ব্যাপকতা তাই নির্দেশ করে।

ইব্রাহিম নাখাঈ র. বলেন বাইতুল খালায় আল্লাহর নাম নেওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। কেননা ওই জিকিরকে ওফেরেশতারা তাদের আমলনামায় লিপিবদ্ধ করে আসমানে নিয়ে যায়।আল্লাহ এরশাদ করেন:মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে। অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে।

বাইতুল খলায় আল্লাহর নাম নেওয়াতে সমস্যা নাই ।কারণ আল্লাহ তাআলা সর্ব অবস্থায় জিকির করতে আদেশ করেছেন।এই আদেশ থেকে কোন অবস্থাকে বাদ দেননি।

এরশাদ হচ্ছে তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর তোমরা আমাকে স্মরণ করো তাহলে আমি তোমাদেরকে স্মরণ করব ।
যারা উত্তম আমল করবে তাদের প্রতিদান কে আমি নষ্ট হতে দেব না।

তাই আল্লাহ চাহে তো সর্ব হালতে আল্লাহর জিকিরকারী বান্দা ছাওয়াব ও প্রতিদান প্রাপ্ত হবে।

তাফসিরুল কুরতুবী ৫/৪৬৬

৭.
মহাদ্দিস আবু আওয়ানাহ র. তার মুস্তাখরাজ নামক কিতাবে নিম্নোক্ত অধ্যায়টি উল্লেখ করেন

بيان ما يقال عند دخول الخلاء، والدليل على إباحة ذكر الله والدعاء في الموضع الذي يتغوط فيه، وبيان إباحة ذكر الله في الأحوال كلها وجميع المواضع.
বাইতুল খলায় প্রবেশের সময় যে দোয়া পড়া হবে, যে স্থানে পায়খানা করা হয় সেখানেও দোয়া এবং আল্লাহর নাম নেওয়া বৈধ, সর্ব হালতে সর্বস্থানে আল্লাহর নাম নেওয়া বৈধ এর আলোচনা । অতঃপর তিনি আম্মাজান আয়েশা রা.এর প্রসিদ্ধ হাদিসটি উল্লেখ করেন

ان النبي صلى الله عليه وسلم : يذكر الله على كل أحيانه».
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম সর্ব হালতে জিকির করতেন।
মুস্তাখরাজ ১/১৮৪

৮.
ইমাম ইবনে মাজাহ আম্মাজান আয়েশা রা.এর উক্ত হাদীসের অধীনে নিন্মুক্ত অধ্যায়টি কায়েম করেন
«باب ذكر الله عز و جل على الخلاء والخاتم في الخلاء» ثم ذكر حديث عائشة رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم :«كان يذكر الله على كل أحيانه»
বাইতুল খলায় আল্লাহর নাম নেয়া এবং আংটি নিয়ে প্রবেশ করা
সুনানে ইবনে মাজাহ ১/২৭০

৯.
وسألت أبا زرعة عن حديث : خالد بن سلمة ، عن البهي ، عن عروة ، عن عائشة ، قالت : «كان النبي صلى الله عليه وسلم يذكر الله على كل أحيانه».
فقال : ليس بذاك ، هو حديث لا يروى إلا من ذي الوجه.
فذكرت قول أبي زرعة لأبي رحمه الله فقال : الذي أرى أن يذكر الله على كل حال ، على الكنيف وغيره ، على هذا الحديث
ইবনে আবি হাতেম র.বলেন আমি আবু যুরআ র.কে আম্মাজান আয়েশা রা.এর সেই প্রসিদ্ধ হাদিসের সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে তিনি বলেন হাদিসটা এতটা শক্তিশালী নয় ।কেবল এই সুত্রেই বর্ণিত হয়েছে ।তারপর আবু যুরআর এই বক্তব্য সম্পর্কেআমি আমার বাবা আবু হাতেমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ,আমার মতে উক্ত হাদিসের আলোকে সর্বাবস্থায় এমনকি বায়তুল খলায় ও আল্লাহ জিকির করা যাবে।
কিতাবুল ইলাল লি ইবনে আবী হাতেম হাদিস নং ১২৪
১০.
عن عائشه انها قالت كان رسول الله يتكئ في حجري وانا حائض فيقرا
القرانن 1/143
قال النووي فيه جواز قراءة القران مضطجعا ومتكئا على الحائض وبقرب النجاسة
قال العيني عرض البخاري الدلالة على جواز القراءة بقرب موضع النجاسة عمدة القاري3/104
আম্মাজান আয়েশা থেকে বর্ণিত ,আমার মাসিক চলাকালীন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম আমার কোলে শুয়ে কোরআন তেলাওয়াত করতেন। বুখারী ১/৪৪. মুসলিম ১/১৪৩

ইমাম নববী রহ. বলেন এই হাদিস থেকে ঋতুবতী মহিলার কোলে শুয়ে অথবা নাপাকের নিকট অবস্থান করে কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করা জায়েয প্রমাণিত হয়।

আল্লামা আইনি রহ.বলেন এই হাদিস দ্বারা ইমাম বুখারীর
উদ্দেশ্য হল নাপাক জায়গার কাছাকাছি বসে কোরআন তেলাওয়াত করা জায়েয প্রমানিত করা।
উমদাতুল কারী৩/১০৪

মুফতি রেজাউল হক হাফিযাহুল্লাহু উপরোল্লিখিত আম্মাজান আয়েশা রা.এর হাদিস এবং ইমাম নববী রহ.ও আল্লামা আইনী রহ.এর বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন

مذکورہ بالا روایت آ اور تشریح سے معلوم ہوتا ہے کہ جب نجاست چھبی ہوئی ہو اور ظاہری محل صاف ہو تو بسم اللہ، ادعیہ ما ثورہ و غیرہ پڑھ سکتے ہیں
لہذا صورت مسؤلہ میں بیت الخلا کا ڈھکن بند ہے اور جگہ بھی صاف ہے تو بسم اللہ،ادعیہ ماثورہ وغیرہ پڑھ نا چاہیے۔
دوسری جگہ ذکر کیا ہے احسن الفتاوی کی حوالہ سے
٫٫اگر غسل خانہ نہایت صاف ستھرا ہو اور اس کے اندر بیت الخلاء نہ ہو تو اس میں داخل ہوتے وقت اور نکلتے وقت جو پاؤں چاہیے پہلے رکھے اور بسم اللہ بھی غسل خانہ کے اندر کپڑے اتارنے سے پہلے پڑھے اگر کوئی لونگی وغیرہ باندھ کر غسل کر رہا ہو تو کپڑے اتارنے کے بعد پڑھے حالت غسل میں وضو کی دعائیں بھی پڑھ سکتا ہے ؛

مذکورہ بالا عبارت کا خلاصہ یہ ہے کہ غسل خانہ میں بیت الخلا کا ڈھکن بند ہے اور صفائی وغیرہ کا اہتمام بھی ہے تو بوقت وضو ادعیہ اور بسم اللہ وغیرہ پڑھ سکتے ہیں

অর্থাৎ উল্লিখিত হাদিস এবং তার ব্যাখ্যা আলোকে জানা গেল যে ,যখন নাপাক আচ্ছাদিত থাকবে এবং স্থান ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে তখন বিসমিল্লাহ এবং হাদীসে বর্ণিত দোয়া গুলো পড়া যাবে। তাই হাই কমোড বিশিষ্ট attach বাথরুমে যদি কমোডের ঢাকনা বন্ধ থাকে এবং বাথরুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে তাহলে দোয়া কালাম পড়া উচিত।
আহসানুল ফাতাওয়া এর রচয়িতা বলেন ,গোসলখানা যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয় এবং তার ভেতর টয়লেট না থাকে তাহলে সেখানে প্রবেশ বা বের হওয়ার সময় যে কোন পা আগে প্রবেশ করাতে পারবে।এবং গোসল খানার ভিতর পরিধেয় পোশাক খোলার পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়তে পারবে। লুঙ্গি বা গামছা ইত্যাদি শরীরে প্যাঁচানো অবস্থায় গোসল করলে শরীরের পোশাক খোলার পরও গোসলরত অবস্থায় দোয়া কালাম পড়তে পারে। ফাতাওয়া দারুল উলুম জাকারিয়া ১/১৬৬

নিচে আকাবিরের দেওবন্দের কিছু ফাতোয়া উল্লেখ করা হলো بیت الخلا کے اندر جانے کے بعد دعا پڑھنا،اٹیچ باتھ روم میں دعا پڑھنا

جنوری 26, 2022 0 تبصرے 38 مناظر

سوال 1۔ بیت الخلاء جانے کے بعد یاد آیا کہ دعا نہیں پڑھی تو اب دعا پڑھ لینی چاہیئے یا نہیں ؟

2۔ہمارے گھر میں غسل خانہ اور بیت الخلاء ایک ساتھ بنے ہیں ،تو کیا غسل خانے والے حصے میں جانے کے بعد دعا پڑھنے کی گنجائش ہے؟

الجواب حامدا و مصلیا

1۔بیت الخلاء کے اندرجانے کے بعد زبان سے دعا نہیں پڑھ سکتے دل میں پڑھ سکتے ہیں۔

2۔غسل خانہ اور بیت الخلاء ایک جگہ پر ہونے کی صورت میں غسل خانے والی جگہ پر دعا پڑھنے کی گنجائش ہے بشرطیکہ وہاں نجاست نہ ہو ۔
کما فی ردالمحتار 242/1)

“الظاهر ان المراد انه یسمی قبل رفع ثیابه ان کان فی غیر المکان المعد لقضاء الحاجة، والا فقبل دخوله ، فلو نسی فیها سمی بقلبه ، ولا یحرک لسانه تعظیما لاسم الله تعا لیٰ”

کتاب المسائل جلد 1صفحہ نمبر: 151

“اٹیچ باتھ روم میں اگر نجاست سامنے نہ ہو تو وضو کرتے وقت زبان سے بھی ’’بسم اللہ‘‘ پڑھ سکتے ہیں؛ لیکن اگر نجاست ظاہر ہو تو زبان سے بسم اللہ نہ پڑھیں؛ بلکہ دل دل میں پڑھ لیں، اسی طرح ستر کھلے ہوئے ہونے کی حالت میں زبان سے بسم اللہ پڑھنا منع ہے۔ (مستفاد: إلا حال انکشاف وفی محل نجاسۃٍ فیسمی بقلبہٖ۔ وفی الشامی: ولا یحرک لسانہ تعظیماً لإسم اللّٰہ تعالیٰ۔ (درمختار وشامی زکریا ۱؍۲۲۷، بیروت ۱؍۲۴۰، تحفۃ الالمعی، افادات: حضرت الاستاذ مفتی سعید احمد صاحب پالن پوری ۱؍۲۰۲)”
سوال نمبر:6390

عنوان:بیت الخلاء میں وضو کرتے ہوئے کیا مسنون دعائیں پڑھی جاسکتی ہیں؟سوال:بعد سلام دعا عرض ھے کہ کیا بیت الخلاء میں ھم وضو شروع کرنے اور وضو کے اختتام پر مسنون دعایئں پڑھ سکتے ہیں اور وہاں آئینہ بھی لگا ھے تو کیا ھم آئینہ دیکھنے وقت کی مسنون دعا پڑھ سکتے ہیں ۔جبکہ بیت الخلاء ایک نجاست والی جگہ ھے . جزاک اللہ

جواب نمبر: 63903

بسم الله الرحمن الرحيم

Fatwa ID: 539-541/N=6/1437 اگر بیت الخلاء میں غسل خانہ بھی ہے،یعنی: اٹیچ لیٹرین باتھ روم ہے اور دونوں ایک دوسرے سے واضح طور پر ممتاز ہیں ، مثلاً دونوں کے درمیان کوئی چھوٹی دیوار ہے اور غسل خانہ کے حصہ میں بیت الخلاء کی بدبو وغیرہ محسوس نہیں ہوتی تو غسل خانہ والے حصے میں وضو کرتے وقت وضو کی دعائیں پڑھ سکتے ہیں ،البتہ ہلکی آواز سے پڑھے،زور سے نہ پڑھے۔اسی طرح اگر آئینہ غسل خانے کے حصہ میں ہے تو آئینہ دیکھتے وقت آئینہ کی دعا بھی پڑھ سکتے ہیں۔ اور اگر بیت الخلاء اورغسل خانہ دونوں واضح طور پر ممتاز نہیں ہیں یا وہ در اصل صرف بیت الخلاء ہے اور ہاتھ منھ دھونے کے لیے کسی جگہ کنارے کوئی چھوٹا سا واش بیسن لگادیا گیا ہے جیسے عام طور پر ٹرینوں میں ہوتا ہے تو وہاں اگر کوئی شخص وضو کرے یا آئینہ میں چہرہ دیکھے تو وہ صرف دل دل میں دعا پڑھ سکتا ہے، زبان سے نہیں،مستفاد: ویدخل الخلاء… والمراد بیت التغوط برجلہ الیسری …، و…یستعیذ …باللہ من الشیطان الرجیم قبل دخولہ وقبل کشف عورتہ (مراقی الفلاح مع حاشیة الطحطاوی ص ۵۱، مطبوعہ:دار الکتب العلمیة بیروت)،قولہ:”قبل دخولہ“:الأولی التفصیل، وھو إن کان المعد لذلک یقول قبل الدخول، وإن کان غیر معد کالصحراء ففي أوان الشروع کتشمیر الثیاب مثلاً قبل کشف العورة، وإن نسي ذلک أتی بہ في نفسہ لا بلسانہ(حاشیة الطحطاوی علی المراقی )،وفي مسألتنا المکان کلہ غیر معد للخلاء بل المعد لہ ھو البعض من ذلک وھو ممتاز عن الآخر، وقال فی الفتاوی الھندیة :قال عین الأئمة الکرابیسي:لا تکرہ الصلاة في بیت فیہ بالوعة کذا فی القنیة(فتاوی عالمگیری قدیم ۵: ۳۱۵، مطبوعہ: مکتبہ زکریا دیوبند)
دارالافتاء،
دارالعلوم دیوبند
الله اعلم بالصواب واليه المرجع والمآ ب

উত্তর প্রদানে
মুফতি সাদেকুর রহমান
মুশরিফ
ফাতওয়া বিভাগ
শেখ জনূরুদ্দীন র. দারুন কুরআন মাদরাসা, চৌধুরীপাড়া, ঢাকা

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ