|| কাউসার লাবীব ||
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে দেশে দুইদিন (শুক্রবার ও শনিবার) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার (২২ আগস্ট) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকবে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
পূর্বে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সপ্তাহে একদিন (শুক্রবার) বন্ধ থাকতো। কিন্তু এবার শুরু হচ্ছে সপ্তাহে দু’দিন ছুটি। জেনারেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া এ ছুটিকে দেশের ওলামায়ে কেরাম কিন্তু চাইলেই দারুন কাজে লাগাতে পারেন। কীভাবে কাজে লাগাতে পারেন? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে স্যোশালিস্ট ও তরুণ আলেম সাইমুম সাদীর এক লেখায়।
আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দু’দিন ছুটির প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পরপর তিনি তার ফেসবুকে এ বিষয়ে চমৎকার একটি আইডিয়া শেয়ার করেন। এতে তিনি লিখেন, ‘সপ্তাহে দুইদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি- এইটাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে চিন্তা করা যায়৷ অন্তত যারা ইসলামী শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন, ফিকির করেন তারা একটা উদ্যোগ নিতে পারেন। আমরা সবাই সাথে থাকব।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘সাপ্লিমেন্টারী ইসলামিক এডুকেশন নিয়ে বিশ্বের বহু দেশে কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও আফটার স্কুল মক্তব নিয়ে কাজ চলছে। আল্লাহর কিছু বান্দা, যারা ফেসবুকে তেমন সরব নেই কিন্তু ইসলামী শিক্ষা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ।’
সাইমুম সাদী লিখেন, ‘ধরেন শুক্র ও শনি এই দুইদিন যেহেতু বন্ধ, স্কুলের শিক্ষার্থীদের ইসলামী প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করার একটা প্রজেক্ট শুরু করতে পারেন। স্কুলের পাশেই একটা ঘরে সেটা শুরু করা যায়। ইমাম সাহেব তার হুজরায়ও শুরু করতে পারেন। কিংবা মসজিদের বারান্দায়ও হতে পারে। পাশের মাদ্রাসায় একটা কক্ষেও এই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এই দুই দিন আমরা শিশু কিশোরদেরকে দ্বীনি ইলম শেখাব। প্রত্যেক আলেম, বিশেষ করে আমরা যারা ফেসবুকবাসী ইসলামের ভবিষ্যৎ নিয়ে সময়ে অসময়ে পোস্ট দেই তারা একেকজন অন্তত একটা ব্যাচকে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারি। চাইলেই পারি।’
তিনি প্রস্তান দেন, ‘এজন্য একজন শিক্ষককে বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে৷ শিক্ষক নিজেও কিছুটা সেক্রিফাইজ করবেন । আর যাদের অন্যন্য ব্যবসা বা চাকরি আছে তারা ফি সাবিলিল্লাহ শেখাবেন। আমরা কেউ যেনো এই কাজের বাহিরে না থাকি। একটা উদ্যোগ নেন, এই সুযোগে যদি কয়েক লক্ষ শিশুকে দ্বীনের প্রাথমিক জ্ঞান প্রদান করা যায়, লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।’
সবশেষে তিনি লিখেন, ‘ওরা শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলাম ঝেড়ে মুছে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করবে আর আপনি সপ্তাহে দুইদিন শিশুদেরকে দ্বীন শেখাবেন। কার শিক্ষার পাওয়ার বেশি সেটা দেখা যাবে ইনশাআল্লাহ।’
কেএল/