আওয়ার ইসলাম: জীবনে অনেকেই অশান্তিতে ভোগেন। ঝগড়া-অশান্তির জেরে অনেকে বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্তও নেন। সাংসারিক অশান্তি মানুষের জীবনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে এবং এই অশান্তি সহ্য করা খুবই কঠিন।
সাংসারিক অশান্তি শুধু স্বামী স্ত্রী নয়, সন্তান থাকলে তাদের জীবনেও অনেক প্রভাব ফেলে। ভাবিষ্যৎ সাংসারিক জীবন নিয়ে তাদের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। অনেক সময় তালাকের কারণে মা বাবার আলাদা হয়ে যাওয়ায় সন্তানদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে। তারা একটি পীড়াদায়ক স্মৃতি নিয়ে বড় হয়।
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, তুমি তোমার ঘর অর্থাৎ সাংসারিক জীবনকে জান্নাতও বানাতে পারো আবার জাহান্নামও বানাতে পারো। এই হাদিসে সাংসারিক জীবনের অশান্তিকে জাহান্নামের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এতেই বোঝা যায়, বৈবাহিক জীবনের অশান্তি কতোটা ভয়াবহ ও মারাত্মক।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাপী প্রশিদ্ধ পাকিস্তানি আলেম ও দ্বীনের দাঈ মাওলানা তারিক জামিল বলেন, সাংসারিক বা বৈবাহিক জীবনে প্রশান্তি পেতে চাইলে, ঘরকে জান্নাত বানাতে চাইলে আমার মাত্র একটি কথা মেনে চলো। ধৈর্য্য ধারণ করা শেখো, অপরকে বরদাশত করতে শেখো, কিছু বলো না।
তিনি বলেন, বিজ থেকে গাছ হওয়ার জন্য তাকে পরিপূর্ণ অস্তিত্ব বিলীন করতে হয়। আজ আমরা স্ত্রীদের ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করি। যদি স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা পেতে চায়, স্ত্রী যদি স্বামীর ভালোবাসা চায়, যদি সন্তান মা-বাবা ও মা-বাবা সন্তানের ভালোবাসা পেতে চায় তাহলে একে অপরকে বরদাশত করো, ঝগড়া করো না। মাত্র এই একটি কথা মেনে চলো।
এই আলেম আল্লাহর কসম করে বলেন, জিল্লত তথা অপদস্তির মধ্যে সম্মান নিহিত রয়েছে। রাসুল সা. বলেছেন, নিচু জমিনের দিকেই পানি গড়ায়।
হাদিস ও কোরআনেও স্বামী স্ত্রী একে অপরের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। ধৈর্য্য ধারণের ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘ধৈর্য-নিষ্ঠার সাথে চেষ্টা করো এবং সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। যারা ধৈর্য-নিষ্ঠার সাথে চেষ্টা করে, আল্লাহ অবশ্যই তাদের সাথে আছেন। (আল-বাক্বারাহ)। আল্লাহ তায়ালা আমাদের বৈবাহিক ও সাংসারিক জীবনে একে অপরকে বোঝার, বরদাশত করার ও আমাদেও ধৈর্য্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন। সূত্র: ইউটিউব
-এটি