সায়েঈদা হাবিবা: বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ২০১৯ সালের তথ্যমতে পৃথিবীর মোট ৩৮টি দেশে খেজুর উৎপাদন হয়। এই খেজুর বিশ্বের সব দেশের মানুষের চাহিদা পূর্ণ করে।
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতেও সৌদি আরবের খেজুর চাষ হয়। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল, ঢাকা, কুষ্টিয়া ও যশোরে। গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে খেজুর চাষিরা বলেন, খেজুরের চারা রোপণের তিন থেকে চার বছর পর ফল আসে। বীজের চারার চেয়ে কলমের চারায় ফলন তাড়াতাড়ি আসে। বাংলাদেশের মাটি এবং জলবায়ু সৌদি খেজুর চাষের খুবই উপযোগী।
২০১৯ সালের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার তথ্যমতে বিশ্বের উৎপাদিত খেজুরের পরিমাণ ৯০ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন। সবচেয়ে বেশি খেজুর উৎপাদনকারী দেশ মিশরে উৎপাদন হয় ১৬ লাখ ৩ হাজার ৭৬২ মেট্রিক টন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সৌদি আরবে উৎপাদন হয় ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭৫৬ মেট্রিক টন।
তৃতীয় স্থানে থাকা ইরানে উৎপাদন হয় ১৩ লাখ ৭ হাজার ৮ মেট্রিক টন। চুতর্থ স্থানে থাকা আলজেরিয়ায় উৎপাদন হয় ১১ লাখ ৩৬ হাজার ২৫ মেট্রিক টন। পঞ্চম স্থানে থাকা ইরাকে উৎপাদিত হয় ৬ লাখ ৩৯ হাজার ৩১৫ মেট্রিক টন। পাকিস্তানে উৎপাদন হয় ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ মেট্রিক টন। পাকিস্তানের উৎপাদিত খেজুরের প্রায় ৬০ শতাংশই উৎপাদন হয় বেলুচিস্তানে।
২০২০ সালের একটি তথ্যে দেখা যায় বিশ্বে খেজুর আমদানিকারক দেশের শীর্ষে রয়েছে ভারত। দেশটি ২০২০ সালে ২২৪.৯৮ মিলিয়ন ডলারের খেজুর আমদানি করেছে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা জার্মানি আমদানি করেছে ৮০.৭৮ মিলিয়ন ডলারের খেজুর। তৃতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্য আমদানি করেছে ৭৭.১৮ মিলিয়ন ডলারের খেজুর। চুতর্থ স্থানে রয়েছে ইউএসএ। দেশটি খেজুর আমদানি করেছে ৬৬.২৫ মিলিয়ন ডলারের। পঞ্চম স্থানে থাকা নেদারল্যান্ড ২০২০ সালে আমদানি করেছে ৬৫.৮১ মিলিয়ন ডলারের খেজুর।
বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ১ হাজারের বেশি জাতের খেজুর আছে। এক সৌদি আরবেই আছে ৪শ-এর বেশি জাতের খেজুর। বাংলাদেশে মোটমুটি ৩০ জাতের বেশি খেজুর পাওয়া যায়। এর মধ্যে দাম কম হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ইরাক থেকে আসা জাহেদী খেজুর। এই জাহেদী খেজুর ছাড়াও ভালো বিক্রি হয় সৌদি আরবের আজওয়া, আম্বার, মাবরুম, মাশরুক, সাফাওয়ি বা কালমি। ইরান ও জর্ডানের মরিয়ম। আমিরাতের লুলু বা বরই, দাব্বাস ও নাগাল খেজুর।
-এটি