আবুল ফাতাহ কাসেমী: তথ্য সন্ত্রাসের কবলে আজ পুরো বিশ্ব। নীতি নৈতিকতা আর মানবতাকে সেঁকে তুলে মিডিয়া ব্যবহার হচ্ছে পুঁজিবাদ, আধিপত্ববাদ ও নোংরা সভ্যতার হাতিয়ার হিসেবে। সমাজের কেন্দ্রীয় মানুষগুলো যখন কেন্দ্র নিয়ে না ভাবেন তখন চারপাশে পঁচন ধরে। পরে এ পঁচন ছড়িয়ে পড়ে রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পার হলেও আমাদের দেশে ইসলামি বলয়ে কিংবা প্রকৃত মানবতার কোন মুখপাত্র হিসেবে কোন মিডিয়া তৈরি হয়নি আজোও। যার খেসারত প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে দিয়ে যাচ্ছে এ দেশের সচেতন সমাজ।
মিডিয়া পত্রিকা বা সংবাদ মাধ্যম বিষয়ে অন্যান্য দেশের আলেমদের মধ্যে কিছুটা সচেতনতা বিরাজ করলেও আমাদের দেশে এখনো সেই পরিবেশ তৈরি হয় নি। এটা বাংলাদেশের জন্য একটি শুণ্যস্থান! মিডিয়া নিয়ে তাদের ভাবনার অন্ত নেই। আমাদের একজন বিখ্যাত আলেমের ভাবনা শুনুন!
শতাব্দীর বিখ্যাত হাদিস বিশারদ, বিশ্ববিখ্যাত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক শাইখুল হাদিস ও একাডেমিক প্রধান মুফতি সাইদ আহমদ পালনপুরী রহ.। তিনি নিয়মিত বিভিন্ন মাসিক পত্রিকা নিজ পয়সা দিয়ে কিনে পড়তেন। দুই হাজার পনরের এক বিকেলে তার বাসায় কথা প্রসঙ্গে মিডিয়ার বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমাদের সামনে আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন।
সে দিন বিকেলে মাসিক ‘নেদায়ে শাহি’ পত্রিকার সম্পাদক ভারতের প্রখ্যাত মুফতি সালমান মনসুরপুরী হুজুরের সাথে সাক্ষাতে আসলে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক মাদরাসা থেকে পত্রিকা বের হওয়া উচিৎ। এ ক্ষেত্রে অলসতা কাম্য নয়। দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে প্রতি মাসে তিনটি পত্রিকা বের হয়। যদি সবাই এ দিকটিতে নযর দেন তাহলে পরিবেশ চেইঞ্জ হয়ে যাবে। বোর্ডিংয়ের মতো এ সেক্টরটিকেও গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। মাদরাসার বোর্ডিং চললে পত্রিকাও চলবে। বোর্ডিং বন্ধ থাকলে পত্রিকাও বন্ধ থাকবে’।
বর্তমান বিকলাঙ্গ এ মিডিয়ার যুগে তথ্য সন্ত্রসের শিকারে চারপাশ যখন তথৈবচ তখন আমাদের অনেকে হয়তো আলোর পিদিম নিয়ে অগ্রসর চিন্তার সারিতে দাড়িয়ে থাকেন।
অনেক আশা আর হতাশার মাঝে চর্চা করেন, আদৌ কি এ দেশে ইসলামি ভাবধারার গণমাধ্যম সম্ভব? দৃঢ়তার সাথে বলি, এ প্রশ্নের চর্চাও সবাই করতে পারেন না। কাঙ্গাল এ সময়ে এক সাহসী গানের আয়োজন করে যাচ্ছে জাতীয় অনলাইন আওয়ার ইসলাম। বাশিঁ নিয়ে ডাকছেন উম্মাহর দরদি সন্তান মাওলানা হুমায়ুন আইউব। তিনি চিন্তার বীজ রোপন করছেন হতভাগা এ উম্মাহর দুয়ারে।
-কেএল