শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

জ্ঞান-বিজ্ঞানে নারী সাহাবিদের অবদান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মূল: সাইদ আনসারি রহ.
অনুবাদ: নোমান আব্দুল্লাহ

ইসলামি জ্ঞান তথা কেরাআত, তাফসির, ফিকহ, হাদিস এবং ফারায়েজে অসংখ্য নারী সাহাবি পাণ্ডিত্য রাখতেন। হজরত আয়েশা রা., হজরত হাফসা রা., হজরত উম্মে সালামাহ ও হজরত উম্মে ওয়ারাকাহ পুরা কোরআন হিফজ করেছিলেন।

এমনিভাবে হজরত হিন্দ বিনতে উসাইদ, উম্মে হিশাম বিনতে হারিসাহ, রায়েতাহ বিনতে হায়্যান ও উম্মে সায়াদ বিনতে সায়াদ বিন রবি' রা. কোরআনের আংশিক হিফজ করছিলেন। উম্মে সায়াদ রা. কোরআন পাঠদানও করতেন।

তাফসির শাস্ত্রে অবদান: তাফসিরের ক্ষেত্রে হজরত আয়েশা রা. এর বিশেষ পাণ্ডিত্য ছিল। বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ সহিহ মুসলিম এর শেষভাগে তার তাফসিরের একটি অংশ উল্লেখ রয়েছে।

হাদিস শাস্ত্রে অবদান: হাদিস শাস্ত্রে অন্যান্য নারী সাহাবিদের তুলনায় উম্মাহাতুল মুমিনিনরা বিশেষ পাণ্ডিত্য রাখতেন। আর হজরত আয়েশা ও উম্মে সালামাহ রা. নারী সাহাবিদের মাঝে হাদিস শাস্ত্রে ছিলেন সবার সেরা। হজরত আয়েশার রা. বর্ণিত হাদিস সংখ্যা ২২১০ টি এবং উম্মে সালামাহর রা. ৩৭৮ টি। এছাড়াও উম্মে আতিয়্যাহ, আসমা বিনতে আবু বাকর, উম্মে হানি এবং ফাতেমা বিনতে কায়েস রা. ছিলেন অধিক সংখ্যক হাদিস বর্ণনাকারী।

ফিকহ শাস্ত্রে অবদান: হজরত আয়েশা রা. ফতোয়ার পরিমাণ এতো অধিক ছিলো যে, তা সঙ্কলন করলে বড় বড় কয়েক খণ্ডের কিতাব রচনা করা সম্ভব। হজরত উম্মে সালামাহ রা. এর ফতোয়ার সঙ্কলন দিয়ে একটি পুস্তিকা রচনা করা যাবে। এমনিভাবে হজরত সাফিয়্যাহ, হাফসা, উম্মে হাবিবাহ, জুয়াইরিয়া, মাইমুনা, ফাতেমা, উম্মে শারিক, উম্মে আতিয়্যাহ, আসমা বিনতে আবি বকর, লাইলা বিনতে কায়েফ, উম্মে দারদা, খাওলা বিনতে তুওয়াইত, আতিকা বিনতে জায়েদ, সাহলাহ বিনতে সুহাইল, ফাতেমা বিনতে কায়েস, উম্মে সালামাহ, জয়নব বিনতে আবু সালামাহ, উম্মুল ইয়ামান এবং উম্মে ইউসুফের ফতোয়া সমূহকে একটি সংক্ষিপ্ত বইয়ে সঙ্কলন করা সম্ভব।

ইসলামি উত্তরাধিকার আইন শাস্ত্রে অবদান: হজরত আয়েশা রা. এর ফারায়েজ তথা ইসলামি উত্তরাধিকার আইন শাস্ত্রে এতো বেশি পাণ্ডিত্য ছিল যে বড় বড় সাহাবিরাও এ সংক্রান্ত মাসয়ালা তার কাছে জিজ্ঞাসা করতেন।

ইসলামি জ্ঞানের পাশাপাশি জ্ঞানের অন্যান্য শাখাতেও তাদের পারদর্শিতা ছিলো। যেমন : উম্মে সালামাহ রা. রুকইয়াহ করতে পারতেন। বক্তৃতায় ফাতেমাহ বিনতে সাকান রা. এর বিশেষ প্রসিদ্ধি ছিলো। স্বপ্নের তাবিরের ক্ষেত্রে আসমা বিনতে উমাইস প্রসিদ্ধ ছিলেন।
চিকিৎসাবিদ্যায় রুফাইদা আসলামিয়াহ, উম্মে মাতা', হামনাহ বিনিতে জাহাশ, উম্মে কাবশা, মুয়াজাহ, লাইলা, উমাইমাহ, উম্মে জিয়াদা, রবি' বিনতে মুয়াওবিজ, উম্মে আতিয়্যাহ, উম্মে সুলাইম রা. দের বিশেষ পারদর্শিতা ছিল। এমনকি রুফাইদা আসলামিয়াহ রা. এর খিমার মাঝে একটি চিকিৎসাঘর ছিল যা মসজিদে নববির কাছে অবস্থিত ছিলো।

সাহিত্যে অবদান: কাব্যচর্চায় হজরত খানসা, সু'দা, সাফিয়্যাহ, আতিকা, উমামা মুরাইদিয়াহ, হিন্দ বিনতে হারেস, জয়নব বিনতে আওয়াম, আরবা, আতিকা বিনিতে জায়েদ, হিন্দ বিনতে আসাসাহ, উম্মুল ইয়ামান, কুতাইলা বিনতে আবদারিয়াহ, কাবশা বিনতে রাফে', মাইমুনা বালবিয়াহ, নিয়াম, রাকিকাহ রা. দের নাম উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। নারীদের মাঝে এখনো খানসা রা. এর মতো প্রথিতযশা কবির দেখা মেলেনা। যদিও তার কবিতাগুলো কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে।

আল্লাহ বর্তমান যুগের নারীদের তাদের পদাঙ্ক অনুসরণের তাওফিক দিন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ