আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) বিরুদ্ধে এবার অবৈধ তহবিল গ্রহণের অভিযোগ এনেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। দেশটির আইন অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য এটি খুবই গুরুতর অভিযোগ।
কারণ, পাকিস্তানের আইনে দেশটির কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য বিদেশি তহবিল নেওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ। যদি কোনো দলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে এবং তার সত্যতা প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে সেই দল ও দলের শীর্ষ নেতাকে রাজনীতিতে চিরতরে নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে।
সেই হিসেবে যদি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ইমরান ও তার দল পিটিআইয়ের জন্য রাজনীতির দুয়ার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ইলেকশন কমিশনের অভিযোগে বলা হয়, কমিশনের তিন সদস্যর একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সম্প্রতি জানতে পেরেছে যে— অতীতে বিভিন্ন সময়ে পিটিআই ৩৪ জন বিদেশি ব্যক্তি বা কোম্পানি থেকে তহবিল নিয়েছে। এবং দেশেটির বিভিন্ন ব্যাংকে অন্তত ১৩টি হিসাবে জমা রয়েছে সেই অর্থ। এসব হিসাব চালু রাখতে ব্যাংকগুলোকে যে হলফনামা সরবরাহ করা হয়েছে দলের তরফ থেকে, সেটিও ভুয়া।
পিটিআইয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও পরবর্তীতে বহিষ্কার হওয়া সদস্য আকবর এস. বাবর কমিশন বরাবর এ অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়েই এসব তথ্য জানতে পারে ইসি ট্রাইব্যুনাল।
কমিশনের লিখিত অভিযোগে এসব ব্যাংক হিসাব সম্পর্কে দলের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। পাশাপাশি কেন এসব তহবিল জব্দ হবে না, সে প্রশ্নও করা হয়।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে ইমরান খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাকে টেলিফোন বা অন্য কোনো যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যায়নি। তবে মঙ্গলবার রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পিটিআইয়ের দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি।
পাশপাশি, এ বিষয়ে পিটিআই আইনানুগ পথে চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ফাওয়াদ চৌধুরি বলেন, ‘আমাদের দল কোনো অনৈতিক বা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নয়। ইলেকশন কমিশন যে অভিযোগটি উত্থাপন করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং আদালতে এটিকে চ্যালেঞ্জ করব।’
এদিকে, ইসি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আকবর এস. বাবর। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘সব অন্যায় জনগণের সামনে আসবে। সত্য কখনও চাপা থাকে না।’
-এটি