মাওলানা জিয়াউর রহমান।। আদীব হুজুরের মাদরাসাতুল মদীনার একজন শিক্ষকের ৪২ হাজার টাকা বেতনের সংবাদ কাল থেকে বেশ ভাইরাল হয়েছে৷ আমার জানামতে শুধু আদীব হুজুরের মাদরাসা নয়, ঢাকার আরো অনেক মাদরাসার শিক্ষকের বেতন এই স্কেলের বা তারচেয়েও বেশি পরিমাণ আছে৷
অনেকে সিলেটের মাদরাসাগুলোর বেতনের দৈন্যদশা নিয়েও কথা তুলছেন৷ অস্বীকারের সুযোগ নেই, যারা সারা দেশের একটু খোঁজখবর রাখেন, তারা অনুভব করতে পারবেন শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকটি মাদরাসা ছাড়া সিলেটের মাদরাসাগুলোর বেতনের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ৷
বাংলাদেশর মধ্যে সবচে অনুন্নত এলাকা হিসেবে উত্তরবঙ্গকে বিবেচনা করা হয়৷ কিন্তু দেখা গেছে সেই উত্তরবঙ্গের মাদরাসার শিক্ষকদের বেতনের হারও সিলেটের চাইতে বেশি৷ যার কারণে সিলেটের ইলমী অঙ্গন দিনদিন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে৷
শুধু তাই নয়, বেতন পকেটখরচ পরিমাণের চাইতেও কম নির্ধারিত হওয়া সত্ত্বেও মাসে মাসে তা আদায় হচ্ছে না৷ মাস শেষে খালি পকেটে নিজ পরিবারের কাছে যাওয়ার চাইতে কষ্টের আর কী হতে পারে!
সিলেটের মেধাবীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন সবচে বেশি৷ বিদেশ না হলেও ঢাকামুখী তো হচ্ছেনই৷ অবশ্য এর পেছনে শুধু অর্থই কারণ না, মানানসই ইলমী পরিবেশের অভাবও ভালো ভূমিকা রাখছে৷
শিক্ষা বোর্ডগুলো শুধু পরীক্ষা নেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে মাদরাসা ও শিক্ষকদের অভিভাবকের ভূমিকা রাখা অতীব জরুরি৷ মাদরাসা বোর্ডসহ সবাই মিলে আশু পদক্ষেপ না নিলে সিলেটের ইলমী ভবিষ্যত বড়ই অন্ধকার৷
-এটি