আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক কিশোরীকে (১৬) বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এজহার নামীয় আসামি প্রেমিকের মা’কে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আমেনা (৪০) প্রেমিক মামুনের মা এবং এজহার নামীয় ৩ নম্বর আসামি। বুধবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ।
ওসি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভিকটিমের বড় বোন বাদী হয়ে প্রেমিকসহ তার আরও তিনজন স্বজনকে আসামি করে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। গত কয়েক বছর ধরে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতো সুবর্ণচরের পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের মামুন (২২)।
একপর্যায়ে গত দুই বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে নিজের তিন সহযোগীকে নিয়ে গত এক বছর ধরে বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল মামুন। সবশেষ গত ৭ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করে মামুন।
ওই সময় কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মামুন দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি মামুনের পরিবারকে জানালে তারা বিয়ে দিয়ে দেবে বলে কালক্ষেপণ করে এবং বিভিন্নভাবে ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় এজহার নামীয় আসামি প্রেমিকের মা’কে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বুধবার দুপুরে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করার কথা রয়েছে।
-এটি