আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ ও দিয়াপাড়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জানা গেছে, স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর মোল্লার (৫১) সঙ্গে ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ সমর্থক নুরুল ইসলাম মাতুব্বরের (৫৩) মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে আবু জাফর মোল্লা একটি মোটরসাইকেলে করে জয়ঝাপ গ্রামে তার বাড়িতে যাওয়ার সময় নুরুল ইসলাম মাতুব্বরের সমর্থকরা পেছনের দিক থেকে হামলা করে। এ সময় আবু জাফর মোল্লা আহত হন। ওই হামলার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে একই দিন সন্ধ্যায় আবু জাফর মোল্লা ও নুরুল ইসলাম মাতুব্বর গ্রুপের শতশত লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, ভেলা, শরকি, টেঁটা ও ইটের টুকরো নিয়ে দিয়াপাড়া ও জয়ঝাপ গ্রামে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয় এবং আবু জাফর সমর্থিত ব্যক্তিদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি, দোকাপাট ভাংচুর ও ক্ষয়ক্ষতি করে।
গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর জানান, ফরিদপুর শহর থেকে জুম্মার নামাজের পুর্বে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে কোরবানী ঈদ করার জন্য যাই। পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা নুরুল ইসলাম গংরা আমার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। নুরুল ইসলাম সালথা উপজেলার চেয়ারম্যান ওদুদ মিয়া সমর্থিত গ্র“প। আবু জাফর আরও জানান, তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। যেকোন সময় এই সন্ত্রাসীগ্র“পটি আমার উপর আবার হামলা চালাতে পারে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সালথা থানার এস আই আওলাদ হোসেন জানান, আমি খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনানস্থলে গিলে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে উভয় গ্র“পকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকা এখন শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
-কেএল