আদিয়াত হাসান: নোয়াখালী সদর উপজেলার এজবালিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বৃদ্ধ তাজুল ইসলাম। ৩০ বছর ধরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। মেয়েদের বিয়েও দিয়েছেন রিকশা চালিয়েই। বর্তমানে একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলেরও দেখাশুনা করছেন তিনি। কিন্তু নামাজ পড়তে গিয়ে একমাত্র সম্বল রিকশাটি চুরি হয়ে যায় তার। জীবনের শেষ সময়ে এসে এমন ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েছেন এই বৃদ্ধ।
অসহায় তাজুল ইসলাম জানান, ৬ মেয়ে আর এক ছেলেকে নিয়ে আমার সংসার। ৩০ বছর ধরে প্যাডেল রিকশা চালাচ্ছি। প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা আয় হতো। রিকশা চালিয়েই মেয়েদের বিয়ে দিয়েছি। ঘরে ৪৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলে।
তিনি আরো বলেন, নোয়াখালী পৌরসভার পাশে রিকশা রেখে নামাজ পড়তে যাই। নামাজ পড়ে এসে দেখি রিকশা নেই। উপার্জনের একমাত্র সম্বল হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি। কোনো দিন কারও কাছে হাত পাতিনি। এখন সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। সামনে ঈদ। কীভাবে কী করব বুঝতে পারছে না।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী নোয়াখালী টিভির পরিচালক রনি আওয়ার ইসলামকে জানান, ডান চোখে দেখতে পান না তাজুল ইসলাম। মেয়েদের বিয়ের ও গত এক মাস রিকশা চালাতে না পেরে বর্তমানে তার মাথায় লাখ টাকার ঋণ। শরীরটাও ভালো না। সব কিছু মিলিয়ে শারীরিক এবং মানসিক চাপে দিন কাটছে তাজুল ইসলামের। রিক্সা না পেলে না খেয়ে থাকার আশঙ্কায় আছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বৃদ্ধ তাজুল ইসলামের সঙ্গে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৮২০০১৮৫৪৬ ( রনি, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী)।
-কেএল