সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলে আমাদের জীবন আলোকিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা বর্তমানে ‘উলূমুল হাদিস’-এর প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের মতো সম্প্রীতি আশপাশের দেশে খুঁজে পাবেন না: ধর্ম উপদেষ্টা ‘গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব’ নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর’ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: খেলাফত মজলিস সরাসরি ঢাকা-রিয়াদ ফ্লাইট চালু করল ইউএস-বাংলা

কিশোরগঞ্জের হাওরে ৫০০ বন্যার্তদের ত্রাণ পিসব’র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাহমুদুল হাসান।।

কিশোরগঞ্জের হাওরে বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া অসহায় দুর্দশাগ্রস্ত ৫০০ পরিবারের মাঝে সরকার অনুমোদিত বেসরকারি সামাজিক সেবামূলক সংগঠন পিপলস ইম্প্রুভমেন্ট সোসাইটি বাংলাদেশ (পিসব) এর পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী দেয়া হয়েছে। এর মাঝে ১০০ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরও রাখা হয়েছে। খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে জাল বিতরণ করা হয়েছে।

২৪, ২৫, ২৬ জুন তিনদিন দিনব্যাপী কিশোরগঞ্জের হাওরে পিসবের উপহার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

খাদ্যসামগ্রী নিতে আসা আব্দুস সাত্তার মিয়া জানান, আমাদের এর আগে কেউ এত পরিমান জিনিস দেয়নি। আমরা প্রায় ১০ দিন খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। ঘরে পানি। রান্নার জায়গা নেই। আমাদের এদিকে বন্যার পানি অনেক দিন থাকে তাই আমাদের কষ্টটাও বেশি।

রিশি বর্মন জানান; আমারা হিন্দু। আমাদেরকে হুজুররা যেভাবে খাবার দিয়ে গেছেন এর আগে এভাবে কেউ দেয়নি। কখনো সরকারি মাল পাইছি কিন্তু এত পরিমাণ পাইনি।

বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ও অধিক ক্ষতিগ্রস্ত তৈয়ব আলী জানান, আমাকে একটা জাল দিয়েছে। এটার দাম দুই হাজার টাকা। এই জাল দিয়ে আমি মাছ ধরতে পারব। পরিবার চালাতে পারব। আমার জন্য এটা উপকার হইছে। আমার সাথে আরও যারা জাল পাইছে সবাই অনেক খুশি।

পিসবের সাধারণ সম্পাদক ও প্রকল্প পরিচালক মাওলানা ইমরান হোসাইন হাবীবী জানান, বন্যাদুর্গত ও দুর্গম এলাকায় পিপলস ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসব) ১৯ মে থেকে ধারাবাহিক কাজ করে যাচ্ছে। অধিক ক্ষতিগ্রস্তদের কছে আমাদের সেবা পৌঁছাতে গ্রহিতাদের প্রত্যকের ভোটার আইডি নাম্বার, মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা গ্রহনের মাধ্যমে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এখন পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাত হাজার পাঁচ শ’ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

‘এ ছাড়া সিলেট ও সুনামগঞ্জের দুই শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে মাছ ধরার বিভিন্ন ধরনের জাল, হাঁড়িপাতিল, টিন এবং দুই হাজার মানুষের মাঝে পুষ্টিকর প্রস্তুত খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম, জামালপুর, কিশোরগঞ্জে এক হাজার ৫০০ পরিবারকে ১৬ কেজি করে খাদ্য ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। কিশোরগঞ্জের দুর্গম ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে আরও ব্যাপক কাজ করা হবে। বন্যা-পরবর্তী স্যানিটেশন, টিউবওয়েল, গৃহ সংস্কার, নৌকা, জাল বিতরণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’

-এএ


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ