হাফেজ মাওলানা আব্দুল মাজীদ মামুন রাহমানী কুরবানী শরীয়তের একটি Unique বা স্বতন্ত্র বিধান। অন্য কোন কিছুই এর Options বা বিকল্প হতে পারে না এবং অন্য কোন ভাবে তা আদায়ও করা যাবে না। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহ তা'আলার নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় ইবাদত হলো কুরবানী। হাদীস শরীফে হযরত আয়েশা রা থেকে বর্ণিত হয়েছ
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا عَمِلَ آدَمِيٌّ مِنْ عَمَلٍ يَوْمَ النَّحْرِ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْ إِهْرَاقِ الدَّمِ إِنَّهَا لَتَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلاَفِهَا وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنَ اللَّهِ بِمَكَانٍ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ مِنَ الأَرْضِ فَطِيبُوا بِهَا نَفْسًا "
অর্থাৎ হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ- কুরবানীর দিন মানুষ যে সকল কাজ করে তার মধ্যে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট সবচেয়ে Preferred বা পছন্দনীয় কাজ হচ্ছে রক্ত প্রবাহিত করা (কুরবানী করা)। কিয়ামতের দিন তা নিজের শিং, পশম ও ক্ষুরসহ হাযির হবে। তার (কুরবানীর পশুর) রক্ত যমিনে পড়ার আগেই আল্লাহ্ তা‘আলার নিকটে এক Special status বা বিশেষ মর্যাদায় পৌঁছে যায়। অতএব তোমরা আনন্দিত মনে কুরবানী কর।
জামে' আত-তিরমিযি, হাদীস নং- ১৪৯৩ ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩১২৬ মিশকাত শরীফ হাদীস নং-১৪৭৬ অন্য এক হাদীসে ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে কঠোর Threats বা ধমকি এসেছে, যে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী করে না। এরশাদ হচ্ছে... عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ كَانَ لَهُ سَعَةٌ وَلَمْ يُضَحِّ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مُصَلاَّنَا " .
অর্থাৎ হযরত আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন "যে ব্যক্তি Affordability বা সামর্থ্য থাকা সত্তেও কুরবানী করে না, সে যেন আমাদের ঈদের মাঠের কাছেও না আসে।" সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং- ৩১২৩ মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং- ৮০৭৪
এ সকল হাদীস দ্বারা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, কুরবানীর টাকা দ্বারা Flooded বা বন্যার্তদের মাঝে Relief বা ত্রাণ বিতরণ করলে কুরবানীর ওয়াজিব আদায় হবে না।
তবে এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে বন্যার্ত সহ যে কোন Damaged by disaster বা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের পাশে দাঁড়ানো এবং সাধ্যানুযায়ী তাদেরকে সহযোগিতা করা সমাজের সকল Wealthy বা বিত্তবানদের একান্ত কর্তব্য। কুরবানীর টাকা দিয়ে নয় বরং পৃথকভাবে এ ধরনের ক্ষেত্রে সাহায্য করা শরীয়তের নির্দেশ। না করলে গুনাহগার হতে হবে।
এজন্য নিজেদের প্রয়োজন অতিরিক্ত Indulgence বা ভোগবিলাস কমিয়ে কিছু অর্থ বাঁচিয়ে সেগুলো দিয়ে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি।
অবশ্য অন্যান্য বৎসর যদি আমরা এক লাখ টাকা বা দুই লাখ টাকা দিয়ে কুরবানী করে থাকি, তাহলে এই বছর ৪০-৫০ হাজার টাকা দিয়ে কুরবানি করে বাকি টাকা বাঁচিয়ে যদি আমরা বন্যার্তদের সহযোগিতা করি তাহলে এতে কোন সমস্যা নেই। বরং এ Approach বা পন্থা অবলম্বন করার দ্বারা আমাদের কুরবানী ও আদায় হয়ে যাবে এবং বন্যার্তদের সহযোগিতাও করা হবে।
-এটি