হাছিব আহমদ
শিক্ষার্থী-মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
বর্তমান সময় হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। সেই সাথে বলা হয়, যদি পৃথিবীতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয় তবে সেটা হবে সাইবার যুদ্ধ। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট বা তথ্য প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। যদিও আমরা তরুন সমাজ বাস্তবিক অর্থে দেখতে পাচ্ছি আমাদের দেশে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে তথ্য প্রযুক্তির খাতে সমৃদ্ধ করতে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের মহাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। আইসিটি খাতে সফলতার হার সন্তোষজনক হলেও এটি আরও বিস্তৃত করা সম্ভব। আমরা বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক এখন তরুন।
এই তরুন প্রজন্মের সম্ভাবনার বীজকে পূর্নতা দান করা এখন আমাদের মুল চ্যালেন্জ। বিশেষ করে কলেজ, মাদ্রাসা,বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রতেক শিক্ষার্থীর ইন্টারনেটের প্রাথমিক বিষয়াদি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকা সমায়ের দাবী। মেইল আদান-প্রদান করতে পারা, সার্চ ইন্জিনের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খুঁজে বের করা, স্বাস্হ্য বা কৃষি সেক্টরে ইন্টারনেটের সহযোগিতা নিয়ে অন্যকে সহযোগিতা করতে পারার দক্ষতা সবার থাকা চাই। বর্তমান আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সময় সকলের হাতেই শোভা পাচ্ছে স্মার্টফোন। কিন্তুু ছবি তোলা সেটি ফেইসবুকে আপলোড করা,গেমস খেলার মাধ্যমেই যেন এর সীমাবদ্ধতা থেকে যাচ্ছে।
বর্তমানে অধিকাংশ বিষয় এর অনলাইন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব কিন্তুু এ বিষয় আমরা সবাই অবগত নয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিভাগে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার আগ্রহ নিতান্তই কম।
দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৯৫ লক্ষ ৬৫ হাজার এর বেশি অর্থাৎ প্রায় ১০ কোটি। এর বেশির ভাগই তরুণ সমাজের কাছে একটি ধারণার প্রচলন হয়েছে ইন্টারনেট ব্যাবহার মানেই যেন ইউটিউবে নাটক -সিনেমা দেখা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয়া,অন্যর স্ট্যাটাসে কমেন্ট করা এবং চ্যাট করা৷ কেউ বা আবার ভিডিও গেমসের দক্ষতাকেই প্রযুক্তির দক্ষতা ভেবে আত্মতৃপ্তিতে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রযুক্তি বিভাগ থেকেই প্রতিষ্ঠানিক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে এমন ধারনা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। ইচ্ছেশক্তি থাকলেই বিভিন্ন উপায়ে প্রযুক্তি জ্ঞানে নিজেকে সম্মৃদ্ধ করা সম্ভব। বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন আর্টিকেল বা কনটেন্ট দ্বারা সম্মৃদ্ধ।
মানুষের জীবনে আনন্দ বিনোদনের জন্য, সমাজকে জাগ্রত করে তোলার জন্য নাটক সিনেমা -টেলিফিল্মের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তুু এসব দেখে সিংহভাগ সময় অপচয় না করে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করলে নিজেকে যেমন দক্ষ মানবসম্পাদে রুপান্তর করা সম্ভব, অন্যদিকে বৈশ্বিক ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের অভিশাপ থেকেও নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।
সুতরাং শুধু মাত্র ইন্টারনেট ব্যাবহার করে গেলেই চলবেনা। থাকতে হবে সচেতনতা। নইলে নিজের ব্যাক্তিগত তথ্য, ছবি বা গুরুত্বপূর্ণ নথি চলে যাবে অন্যর হাতে।
সেসব নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে, ইনশাআল্লাহ। সুতরাং আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তথ্য -প্রযুক্তিতে অগাধ গভীর পাণ্ডিত্য অর্জন করতে হবে। একটি স্লোগানকে সামনে রেখে সেটা হল, প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষতা যার, আগামীর বিশ্ব হবে তার।
-এটি