আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নাজমুল হাসান সাকিব নামে একজন জানতে চেয়েছেন, আমার বড় ভাই আজকে হজ ট্রাভেলসের কাজ নিয়ে নির্ধারিত মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কায় প্রবেশ করেন। অতঃপর ওমরা পালন করেন।
ওমরা শেষে তিনি মদিনায় ফিরে যান। এখন তিনি মদীনা থেকে পুনরায় মক্কায় প্রবেশ করতে চান।
ট্রাভেলসের কাজে ওনাকে আরও পাঁচ ছয়বার মক্কায় প্রবেশ করতে হবে। এমতাবস্থায় মীকাত অতিক্রম করে মক্কায় প্রবেশ করতে হলে বারবার ইহরাম বেঁধে ওমরা পালন করা কষ্টকর হবে বলে ধারণা করছেন।
তাই তিনি চাচ্ছেন, মীকাতের স্থান দিয়ে মক্কায় প্রবেশ না করে; বরং জেদ্দা হয়ে মক্কায় প্রবেশ করবেন। জেদ্দায় কোনো কাজ থাকুক বা না থাকুক। জানার বিষয় হলো এভাবে করে ইহরাম না বেঁধে কাজের জন্য মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে কিনা?
উত্তর: ব্যবসায়ীদের জন্য যদি সপ্তাহের মাঝে বারবার মক্কার সীমানায় প্রবেশ ও বের হবার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাদের জন্য বারবার ইহরাম বেঁধে প্রবেশের প্রয়োজন নেই। ইহরাম ছাড়াও প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। যদিও ইহরাম বেঁধেই প্রবেশ করা উচিত। তবে কষ্টকর হওয়ায় সুযোগ রয়েছে।
জেদ্দায় এসে ঘুরে যাবার দ্বারা কোন ফায়দা নেই। হারামের সীমানায় বারবার যাতায়াতকারী ব্যবসায়ীদের জন্য ইহরাম ছাড়া এমনিতেই প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। সূত্র: আহলে হক মিডিয়া
عن ابن عباس رضى الله عنه قال: لا يدخل مكة أحد بغير إحرام إلا الحطابون والعمالون، وأصحاب منافعها (مصنف ابن أبي شيبة-8/227، رقم-13691)
وقال أبو عمر لا أعلم خلافا بين فقهاء الأمصار فى الحطابون، ومن يد من الاختلاف إلى مكة ويكثره فى اليوم والليلة أنهم لا يأمرون بذلك لما عليهم فيه من المشقة (عمدة القارى، كتاب الحج، باب دخول الحرم ومكة بغير إحرام، دار احياء التراث العربى بيروت-10/205، زكريا-7/535، رقم-1845)
كره الاكثر دخولها بلا احرام ورخصوا الحطابين ومن اشبههم الخ (اوجز المسالك، قديم-3/732)
وأَمَّا الْمُجَاوِزُ لِلْمِيقَاتِ، مِمَّنْ لَا يُرِيدُ النُّسُكَ، فَعَلَى قِسْمَيْنِ؛……… الْقِسْمُ الثَّانِي، مَنْ يُرِيدُ دُخُولَ الْحَرَمِ، إمَّا إلَى مَكَّةَ أَوْ غَيْرِهَا، فَهُمْ عَلَى ثَلَاثَةِ أَضْرُبٍ؛ أَحَدُهَا، مَنْ يَدْخُلُهَا لِقِتَالٍ مُبَاحٍ، أَوْ مِنْ خَوْفٍ، أَوْ لِحَاجَةٍ مُتَكَرِّرَةٍ، كَالْحَشَّاشِ، وَالْحَطَّابِ، وَنَاقِلِ الْمِيرَةِ وَالْفَيْحِ، وَمَنْ كَانَتْ لَهُ ضَيْعَةٌ يَتَكَرَّرُ دُخُولُهُ وَخُرُوجُهُ إلَيْهَا، فَهَؤُلَاءِ لَا إحْرَامَ عَلَيْهِمْ؛ لِأَنَّ النَّبِيَّ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – دَخَلَ يَوْمَ الْفَتْحِ مَكَّةَ حَلَالًا وَعَلَى رَأْسِهِ الْمِغْفَرُ، وَكَذَلِكَ أَصْحَابُهُ، وَلَمْ نَعْلَمْ أَحَدًا مِنْهُمْ أَحْرَمَ يَوْمَئِذٍ، وَلَوْ أَوْجَبْنَا الْإِحْرَامَ عَلَى كُلِّ مَنْ يَتَكَرَّرُ دُخُولُهُ، أَفْضَى إلَى أَنْ يَكُونَ جَمِيعَ زَمَانِهِ مُحْرِمًا، فَسَقَطَ لِلْحَرَجِ (المغنى لابن قدامة-3/253، اوجز المسالك، قديم-3/731)
-কেএল