আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জবাবে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে রেজ্যুলুশন আনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। এর মধ্যদিয়ে বিশ্বের কাছে একটি পরিষ্কার বার্তা দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
শনিবার এক টুইটে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত জাতীয় পরিষদের স্পিকারের কাছে প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানান সোমবার ইসলাম অবমাননাকর মন্তব্যের ওপরে নিম্নকক্ষে আলোচনা অনুমোদন করার।
এতে শেহবাজ শরীফ বলেছেন, বিজেপি নেতাদের এইসব অর্থহীন মন্তব্যের কড়া নিন্দা জানাই আমরা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতে উগ্র ডানপন্থি রাজনীতিকদের ধর্ম অবমাননাকর মন্তব্যে বিশ্বের কমপক্ষে ১০০ কোটি মুসলিমের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। তিনি বলেন, ভারতে ক্ষমতাসীন দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে একটি রেজ্যুলুশন পাস করা উচিত জাতীয় পরিষদের। এই রেজ্যুলুশন সারা বিশ্বের কাছে একটি পরিষ্কার বার্তা পাঠাবে।
তা হলো, আমরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্রতার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। এ মাসের শুরুর দিকে মহানবী সা. কে নিয়ে ওইসব মন্তব্যের বিরুদ্ধে সর্বসম্মতভাবে একটি রেজ্যুলুশন পাস করেছে সিনেট।
এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সিনেটর সালিম মান্দভিওয়ালা। জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর পবিত্রতা, মর্যাদা রক্ষার পক্ষে শক্তিশালী প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে এতে।
যারা ধর্ম অবমাননা করে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে ভারতের নিন্দা জানিয়েছে মুসলিম বিশ্ব এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
উপরন্তু এই বিতর্ক উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টান সৃষ্টি করেছে। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে দেশে দেশে। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে কিছু আরব দেশ। অন্যদিকে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা সারিয়ে তোলার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। কাতারের মতো দেশগুলো প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলছে ভারতকে।
অন্যদিকে মহানবী সা. কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার কারণে বিজেপি তার মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে এবং দিল্লি মিডিয়া সেলের প্রধান নবীন কুমার জিন্দালকে যথাক্রমে সাময়িক বরখাস্ত এবং বহিষ্কার করেছে।
-এটি