মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আমিরাতকে আন্তর্জাতিক শক্তিতে পরিণত করেছে যে রাজ পরিবার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শুধু বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনই নয়, সবচেয়ে বিলাসবহুল হোটেলও রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। অর্ধ শতাব্দী আগে যে সব জায়গায় ছিল পথের ধারের বাজার আর তাঁবুর মতো দেখতে বসতবাড়ি, সেসব জায়গায় এখন অত্যাধুনিক শহর, চোখ ধাঁধানো স্থাপত্যের সারি সারি গগনচুম্বী অট্টালিকা আর প্রশস্ত সড়ক। দেখে মনে হবে যেন মরুর বুকে মহাকাশের কল্পিত কোনো নগরী নেমে এসেছে।

যেসব জায়গায় ৫০ বছর আগেও মানুষ গাছ থেকে খেজুর পাড়তো, মুক্তোর লোভে সাগর বেলার ঝিনুক কুড়াতো কিংবা উট পালতো, সেখানে এখন প্যারিসের ল্যুভ জাদুঘরের শাখা, আমেরিকান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের, এমনকি প্যারিসের বিখ্যাত সোরবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের, স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে চিত্রকর্ম কিনেছে ইউএই (লিওনার্দোর আঁকা সালভাটোর মুন্ডি)। কিছুদিন আগ পর্যন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় শপিং মলও ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

গত বেশ ক’বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাত পশ্চিম এবং প্রাচ্যের মধ্যে একটি যোগসূত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। তেল সম্পদের পয়সায় এই মরুর দেশে আধুনিকতা, আধুনিক প্রযুক্তি এবং চোখ ধাঁধানো চাকচিক্যের অসামান্য প্রসার ঘটেছে। সেইসঙ্গে ইউএই হয়ে উঠেছে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্র। পারস্য উপসাগরে দেশটি এখন পশ্চিমা বিশ্বের অন্যতম প্রধান মিত্র, যদিও তারা বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোর একটি।

কে এই মরু রাষ্ট্রের অবিশ্বাস্য রূপান্তরের রূপকার?

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী এবং আবুধাবির আমীর শেখ খালিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ছিলেন ইউএইর দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট। নানা বিতর্ক ছিল তাকে নিয়ে। কিন্তু এই দেশকে তিনিই আঞ্চলিক মানচিত্রের বাইরে বিশ্ব মানচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের পর্যবেক্ষকরা কোনো দ্বিধা ছাড়াই তার নাম করেন। এ মাসে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনিই উপসাগরীয় কতগুলো মরু রাজ্যের এই কনফেডারেশনের শাসক ছিলেন।

২০১৪ সালে একটি স্ট্রোকের পর থেকে শেখ খালিফা লোকসমক্ষে খুব একটা আসতেন না, কিন্তু সর্বত্রই দৃশ্যমান ছিলেন তিনি। সরকারি অফিস থেকে শুরু করে হোটেলের লবি, রেস্তোরাঁ, দোকানপাটের দেয়ালে ঝুলছে তার ছবি।

তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তারই সৎ ভাই মোহামেদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান। অবশ্য কেউই তাতে বিস্মিত হয়নি। গত এক দশক ধরে শেখ মোহামেদই আমিরাতের বিদেশ নীতির কর্ণধার ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

কিন্তু কীভাবে এই শেখ রাজবংশ উপজাতীয় কয়েকটি রাজ্যের কনফেডারেশনকে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন শক্তিতে রূপান্তর করলেন?

ষাটের দশকের শেষের দিকে, ব্রিটেন পারস্য উপদ্বীপ এলাকায় উপনিবেশগুলো থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। তার আগে একশ বছর আগে ব্রিটিশরা ওই এলাকায় আসে। প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, এলাকার উপকূলের পাশ দিয়ে যাওয়া মালবাহী জাহাজে জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণে আনা, কারণ বহু উপজাতীয় আরব প্রায়ই ওইসব জাহাজে হামলা করে লুটতরাজ করতো।

যদিও সে সময় তেল পাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল, তারপরও ব্রিটিশরা মনে করলো সেই লোভে এই এলাকায় শাসন অব্যাহত রাখার ঝুঁকি লাভের চেয়ে অনেক বেশি।

সে সময়ই ছ'টি ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের (আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, উম আল খাইন এবং ফুজাইরা) শাসক শেখরা স্ব স্ব এলাকার শাসন ব্যবস্থা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় এবং শলা-পরামর্শের জন্য একটি কাউন্সিল গঠন করেন। এরপর ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরে তারা অভিন্ন একটি দেশ গঠনের ঘোষণা করেন - ইউনাইটেড আরব আমিরাত - যেটি আধা-স্বশাসিত ছ'টি আমিরাত বা রাজ্যের একটি কনফেডারেশন হবে।

পরপরই আরেকটি আমিরাত - রাস আল খাইমা - এই কনফেডারেশনে যোগ দেয়। এই সাতটি আমিরাত নিয়েই বর্তমানের ইউএইর মানচিত্র। সে সময়কার আবুধাবির আমির জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান (খালিফা এবং মোহামেদের বাবা) এই কনফেডারেশনের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার কিছুদিন আগে এ অঞ্চলে তেল পাওয়া যায়। ফলে শুরু হয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপক এক প্রক্রিয়া। সেইসঙ্গে বাড়তে থাকে জনসংখ্যা এবং জমা হতে থাকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ।

ধনী হওয়ার প্রক্রিয়া

পারস্য উপসাগর অঞ্চলের বাকি রাজতন্ত্রগুলো (সৌদি আরব, ওমান, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত) যে প্রক্রিয়ায় এগিয়েছে, ইউএইও সেই একই পথে এগুনো শুরু করে।

ইতিহাসবিদ রয় মিলার তার বই "ফ্রম ডেজার্ট কিংডম টু গ্লোবাল পাওয়ার্স : দি রাইজ অব গালফ স্টেটস'' বইতে লিখেছেন, এই সব দেশগুলোর অভাবনীয় অর্থনৈতিক সাফল্যের পেছনে প্রধানত যে বিষয়গুলো কাজ করেছে তা হলো - তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষমতাধর অংশগুলোর মধ্যে তেল থেকে অর্জিত আয় সাফল্যের সঙ্গে বণ্টন করতে পেরেছে এবং উদ্বৃত্ত্ব আয়কে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্পত্তি বা স্টকের মত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদে বিনিয়োগ করেছে।

উপসাগরের অন্য দেশগুলোর তুলনায়, ইউএই এই সাফল্য পেয়েছে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে এবং তাদের সাফল্যের মাত্রাও অপেক্ষাকৃত বেশি। তাদের জনপ্রতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাত্রা ওই অঞ্চলে এক নম্বরে।

তবে ইউএইর অন্তর্গত সাতটি আমিরাতের সবগুলোর তেল সম্পদ একই মাত্রার নয়। আর এ কারণেই বাকি আর পাঁচ আমিরাতের তুলনায় আবুধাবি এবং দুবাই উন্নয়নের মাপকাঠিতে বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে এবং তারাই ইউএইর জাতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ডে পরিণত হয়েছে।

স্বায়ত্ত্বশাসনের কারণে একেকটি আমিরাত তাদের উন্নয়নের কৌশলে একেকটি বিষয়কে অন্যদের চেয়ে অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে। যেমন, কয়েকটি আমিরাত পর্যটনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, অন্যরা মনোনিবেশ করেছে বিদেশি পুঁজি টানার দিকে।

এভাবেই ১৯৮৫ সালে বিদেশি বিনিয়োগ টানার জন্য দুবাইতে তৈরি করা হয় জেবেল আলি মুক্ত অর্থনৈতিক জোন। প্রায় ৪০ বছর পরও এটিই এখনও বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত অর্থনৈতিক জোন। দুবাইতে এখন ৩০টিরও বেশি মুক্ত অর্থনৈতিক জোন বা এলাকা হয়েছে যেখানে বিদেশি বিনিয়োগকে কর এবং শুল্ক ছাড়সহ নানারকম সুবিধা দেওয়া হয়।

জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান টার্গেট নিয়েছিলেন বিংশ শতাব্দীর শেষ নাগাদ অর্থাৎ ২০০০ সালের মধ্যে তিনি তার নতুন দেশকে বিশ্বের মানচিত্রে স্থাপন করবেন। তবে সন্দেহ নেই নতুন শতাব্দীতে দেশকে শক্ত পায়ে দাঁড় করিয়েছেন তার দুই ছেলে - শেখ খালিফা এবং তার সৎ ভাই শেখ মোহামেদ।

নতুন শতাব্দী

নতুন শতাব্দীতে ইউএইর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শেখ খালিফার সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হয় ২০০৮ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট। বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র দুবাইকে ওই সংকট দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেখ খালিফা দুবাইকে জরুরি তহবিল থেকে শত শত কোটি ডলার দেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ দুবাইয়ের নাম পাল্টে করা হয় বুর্জ খালিফা।

শেখ খালিফা তেল সম্পদে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক এবং অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে আসেন যা বিশ্বে ইউএই'র ভাবমূর্তি অনেক উঁচুতে নিয়ে যায়। বিশ্বের দেশে দেশে আমিরাতের সরকারি এবং বেসরকারি পুঁজি বিনিয়োগ হয়েছে বড় বড় কোম্পানিতে, উঁচু মূল্যের রিয়েল স্টেটে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, অভিজাত ব্র্যান্ডে, এবং এমনকি ফুটবল ক্লাবে (যেমন, ম্যানচেস্টার সিটি)। পশ্চিমা দেশগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি খুবই দামী ভবন নির্মিত হয়েছে ইউএইর পয়সায়।

শেখ খালিফা তেলের ওপর অর্থনীতির নির্ভরতা কমাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গবেষণার ওপর জোর দিয়েছিলেন। যদিও তারা তেল এবং গ্যাসের রপ্তানি আয় বাড়াতে ওই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছে, কিন্তু গত বছর ইউএই ২০৫০ সালে মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার ঘোষণা করেছে।

স্বৈরতন্ত্র

সমালোচকরা বলেন, তেল সম্পদের ওপর ভর করে অর্থনীতিতে প্রভূত উন্নতি হলেও, ইউএই একটি মুক্ত সমাজ হয়ে উঠতে পারেনি যেখানে মানবাধিকারের মর্যাদা রয়েছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন প্রায়ই ইউএইকে কঠোর নিয়ন্ত্রণে মোড়া একটি দেশ হিসাবে চিহ্নিত করে থাকে যেখানে সংবাদপত্রের বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা সেই বললেই চলে এবং সরকারের সমালোচনা করার জন্য যেখানে জেল বা মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত হতে পারে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের ২০২১ সালের রিপোর্টে বলেছে, আমিরাতের সরকার "গুরুতর সব মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে যার মধ্যে রয়েছে একতরফা গ্রেপ্তার, বন্দীদের ওপর নৃশংস নির্যাতন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারের পদ-দলন।"

যদিও মাথাপিছু আয়ের দিকে থেকে ইউএই মধ্যপ্রাচ্যে এবং বিশ্বে শীর্ষ সারিতে, কিন্তু প্রতি বছর সে দেশে এমন ২০ হাজার থেকে এক লাখ শিশুর জন্ম হয় যাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় না। ফলে সেদেশে জন্ম নিয়েও শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান, কর্মসংস্থানের মত মৌলিক বিষয়ে একজন নাগরিকের যেসব অধিকার তা থেকে তারা বঞ্চিত থেকে যায়।

শেখ খালিফার মৃত্যুর পর যে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তা থেকে বিশ্বের ইউএইর প্রভাব-প্রতিপত্তির আঁচ পাওয়া যায়। তার জানাজায় যুক্তরাষ্ট্র ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পাঠায়। অন্যদিকে, কিউবার মতো দেশও সরকারি আদেশ জারি করে শোক পালন করেছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে তিন নেতা ইউএই শাসন করেছেন তারা সবাই তাদের দেশের প্রভাব-প্রতিপত্তির বলয় বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। দরকার হলে টাকা ছড়ানো এবং যুদ্ধের মতো পুরোনো পথও নিয়েছেন। আবুধাবি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় তহবিল যার অধীনে ৭০ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।

ভাইয়ের মৃত্যুর পর যিনি ক্ষমতা নিয়েছেন সেই মোহামেদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানকে দেখা হয় এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে যিনি বিশ্ব জুড়ে, এমনকি প্রত্যন্ত ছোটো দেশগুলোতেও ইউএইর প্রভাব বিস্তারে সবরকম চেষ্টা করে চলেছেন।

ইউএই প্রথম কোনো সমসাময়িক আরব দেশ যারা এমনকি ইউরোপে পর্যন্ত সৈন্য পাঠিয়েছে। উনিশশো নিরানব্বই সালে নেটোর সমর্থনে লড়াই করতে কসোভোতে তারা সৈন্য পাঠায়। পরে বিশ্বের অন্যান্য জায়গাতেও সৈন্য পাঠিয়েছে ইউএই।

আফগানিস্তানে তারা নেটোর সমর্থনে সৈন্য পাঠায়। মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডকে ঘায়েল করতে সৈন্য পাঠায়, এরপর ২০১১ সালে লিবিয়ার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুদ্ধবিমান পাঠায়। এখনও লিবিয়াতে সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে ছোট এই উপসাগরীয় দেশটি।

কয়েক বছর পর সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দেয় তারা। একইসঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব তৈরির লক্ষ্যে তুরস্কের মতো দেশের সঙ্গেও টক্কর দেওয়া শুরু করে ইইউএই। সোমালিয়া, সোমালি-ল্যান্ড, জিবুতি এবং সুদানের মতো দেশেও তারা যুক্ত হয়।

তবে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি সমর্থিত জোটে যোগদানে মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সিদ্ধান্ত ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। আমিরাতের সৈন্যদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ ওঠে। এমনকি আল কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউএইর যোগাযোগ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। প্রতিবেশী কাতারের ওপর বিতর্কিত অবরোধ আরোপের ব্যাপারেও নেতৃত্ব দেন শেখ মোহামেদ।

ভূমধ্যসাগরের পূর্বে জাহাজ চলাচল এবং জ্বালানির মালিকানা নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে বিরোধে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সমর্থক হিসেবে হাজির হয়েছে ইউএই।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ