আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে আরব আমিরাত সফরে গেছেন।
তিনি এমন সময় আরব আমিরাতে গেলেন যখন ইরানের সঙ্গে নিউক্লিয়ার অস্ত্র নিয়ে ২০১৫ সালে হওয়া চুক্তিটি নতুন করে বাস্তবায়ন করতে চাইছে পশ্চিমা দেশগুলো।
২০২০ সালে আব্রাহাম অ্যাকোর্ডের মাধ্যমে আরব আমিরাতের সঙ্গে প্রকাশ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ইসরাইল।
এরপর দ্বিতীয়বারের আরব আমিরাত সফরে গেলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দেওয়া একটি ভিডিওতে বলা হয়েছে, নাফতালি বেনেট আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
তাদের মধ্যে ‘বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয়’ নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে ইরান ইস্যু থাকবে প্রধান আলোচ্য বিষয়।
আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন নাফতালি বেনেট।
সেই ভিডিওতে তিনি আন্তর্জাতিক অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির বৈঠকে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান। যারা পারমাণবিক কার্যক্রম চালানোর জন্য ইরানের সমালোচনা করে।
ওই ভিডিওতে বেনেট আরও বলেন, আমরা দেখতে পারছি বিশ্ব ভালো ও খারাপের পার্থক্য নিরুপণে বদ্ধপরিকর। তারা পরিস্কারভাবে জানিয়েছে ইরান অনেক কিছু লুকাচ্ছে। আমরা এটি হতে দেব না।
এদিকে আন্তর্জাতিক অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউরিনিয়ামের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ইরান।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করে ইরান। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তারা ইউরিনিয়ামের পরিমাণ বাড়ানোর কাজ বন্ধ করে দেয়। এর বদলে পশ্চিমারা ইরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়।
কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে সরে আসেন এবং ইরানের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এরফলে ওই অঞ্চলে হামলা ও উত্তেজনা বেড়ে যায়।
২০১৫ সালেও ওই চুক্তির বিরোধীতা করেছিল ইসরাইল। তারা চায় ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের ওপর কঠোর বিধি নিষেধ।
সূত্র: আল জাজিরা
এনটি