সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মদের পারমিট সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে: চরমোনাই পীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ৯২% মুসলমানের দেশে মদকে সহজলভ্য করে প্রজ্ঞাপন জারী করে সরকার যুব সমাজকে ধ্বংস করতে চায়। একদিকে মাদককে সহজলভ্য করা হচ্ছে অন্যদিকে শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলামী শিক্ষাকে বাদ দিয়ে সঙ্কুচিত করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে।

শনিবার বগুড়ার সুত্রাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫১ তম বছরেও বাংলাদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। যারাই ক্ষমতায় গেছে তারা জবর দখলের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে। দ্রব্য মূল্য আকাশচুম্বি হওয়ায় জনগন আজ দিশেহারা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যার্থ সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। বাংলাদেশের জনগন আজ ভাল নেই।

চরমোনাই পীর বলেন, শ্বেতপত্র নামক নাটক বানিয়ে একদল ঘাদানিক দেশের সম্মানিত উলামায়ে কেরাম ও মাদরাসার বিরুদ্ধে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। দেশ বিরোধী ঘাদানিকদের শ্বেতপত্র তৈরীতে ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নচেৎ তাদের দোষররা এ জাতীয় ঘৃণিত কাজ করার আবারও দুঃসাহস দেখাবে।

সমাবেশে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বোধ-বিশ্বাসকে সামনে রেখে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৫টি দাবী উপস্থাপন করেন তিনি।

দাবীগুলো হলো- ১. যেকোন মূল্যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
২. দেশে মদ ও সকল ধরণের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে।
৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম শিশুদের জন্য নামাজ শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৫. শিক্ষা সিলেবাস থেকে চরম নাস্তিক্যবাদী সকল ধর্ম বিরোধী, অবৈজ্ঞানিক ও বস্তাপঁচা ডারউইনের থিউরী বাদ দিতে হবে।
৬. কারান্তরিন সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
৭. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে।
৮. সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচন কালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

৯. তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্রবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে।
১০. নির্বাচনে সকল দলের জন্যে সমান সুযোগ তৈরী করতে হবে। রেডিও, টিভিসহ সকল সরকারী বেসরকারী গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
১১. দুর্নীতিবাজদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
১২. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।
১৩. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।
১৪. গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।
১৫. সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশসহ সাংবিধানিক স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচী ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ