আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আফগানিস্তানের চারটি বিমানবন্দরের অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি সার্ভিসেসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের জিএএসি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে দেশটির ট্রান্সপোর্ট ও সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রণালয়।
আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ এ তথ্য জানায়।
চুক্তির আওতায় থাকা বিমানবন্দরগুলো কাবুল, হেরাত, মাজার-ই-শরীফ ও কান্দাহার প্রদেশে অবস্থিত।
ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের ট্রান্সপোর্ট ও সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রণালয় এবং জিএএসি হোল্ডিং এসপিভি লিমিটেড একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায়, জিএএসি হোল্ডিং এসপিভি লিমিটেড ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানিজেশনের (আইসিএও অ্যানেক্স-১৭) মান ও প্রস্তাবিত অনুশীলন এবং জাতীয় প্রবিধান মেনে সেবা দেবে।
এতে আরও বলা হয়, সেবার মধ্যে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ, প্রশিক্ষণ এবং সিভিল অ্যাভিয়েশনের মতো জরুরি খাতে আফগান কর্মকর্তাদের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য কোচিং করানোর বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
ট্রান্সপোর্ট ও সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইমামুদ্দীন আহমাদি বলেন, কাবুল, হেরাত, মাজার-ই-শরীফ ও কান্দাহার বিমানবন্দরের অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি সার্ভিসেসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের জিএএসি কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। এটি কার্যকর। যেসব বিদেশি সংস্থা ফ্লাইট স্থগিত করেছিল তারা পুনরায় ফ্লাইট চালু করতে পারবে।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, আফগানিস্তানে ফ্লাইট পুনরায় চালু করার জন্য বিমান সংস্থাগুলোকে আকৃষ্ট করতে বিদেশি সংস্থাগুলোর কাছে সিকিউরিটি অ্যাভিয়েশন সার্ভিসেসের দায়িত্ব হস্তান্তর করা গুরুত্বপূর্ণ।
সাঈয়েদ মাসুদ নামের এক অর্থনীতিবিদ বলেন, অর্থনীতির দৃষ্টিতে, কাতারি, টার্কিশ অথবা আমিরাতের কোম্পানি কে এ বিমানবন্দরগুলোর দায়িত্ব নিচ্ছে তা জরুরি নয়। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ও বিনিয়োগ সংস্থা রয়েছে এবং তারা এ বিমানবন্দরগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারে।
এদিকে এ চুক্তির বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগান ট্রেড কাউন্সিলের প্রধান বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে।
এনটি