মাওলানা মাকসুদুর রহমান সাইমন
১৯৮৬ সালে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া প্রতিষ্ঠার সময় শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ. একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
সেইখানেই শাইখুল কুরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হোসেন রহ.এর সঙ্গে আল্লামা ইমরান মাজহারীর প্রথম দেখা হয়।
এর আগে ও পরে আর দেখা হয়নি সময়ের ব্যস্ততায় সুযোগ হয়ে ওঠেনি দেখা করার। তবে তিনি যে নূরানি পদ্ধতির আবিষ্কারক কে এবং বাংলাদেশের মুসলিম বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করেন এ ব্যাপারে ওয়াকিফহাল ছিলাম।
তিনি ছিলেন একজন মেহেনতি মানুষ মুসলিম উম্মাহর সন্তানদের নিয়ে পেরেশান থাকতেন তার মনে উম্মাহের ব্যথা ছিল। তাই আল্লাহ তায়ালা তার দ্বারা এমন কাজ নিয়েছেন যে আজ বাংলার প্রত্যেকটা প্রান্তে নূরানি নামে মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। মাদরাসা গুলিতে নূরের নামে স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করেছে যা ইতিপূর্বে ছিলনা। এই নুরানীর আলোকে শিক্ষাদানের জন্য নূরানী মুয়াল্লিম ট্রেনিং রয়েছে।
এই সবাই কারি বেলায়েত সাহেবের অবদান। তার ঐকান্তিক চেষ্টা আর মেহনতের বদৌলতে অতুলনীয় এই নূরানী সেবা আজ মুসলিম উম্মাহ ভোগ করেছে।ছোট ছোট কচিকাঁচা বাচ্চারা কোরআনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এবং জেনারেল সাবজেক্ট পারদর্শিতা সহ ইসলামের বুনিয়াদী বিষয় ও বিভিন্ন মাসায়েল সম্পর্কে তারা জ্ঞান অর্জন করেছে।
আমি মনে করি বাংলাদেশে এর বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থা আর নেই। নূরানী শিক্ষা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরি মনে করি । কারণ এই পদ্ধতি ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষার মাইলফলক।
এই পদ্ধতিতে যেভাবে একজন বাদশা পড়াশোনা করে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে তেমনি একজন বয়স্ক মানুষ সহ সহিহ শুদ্ধভাবে কুরআন শিখতে পারে।
নূরানি শিক্ষা বাংলাদেশের সম্পূর্ণ নতুন ধারার একটি শিক্ষাব্যবস্থা এর নেসাব তারিন ও বাস্তবিক প্রভাব এর প্রতি লক্ষ্য করলে এই কথাই কথাই বলতে হয় এর আবিষ্কারক কারি বেলায়েত রহ. গত শতাব্দীর জন্য সত্যিকার অর্থে একজন মোজাদ্দেদ। আল্লাহ তাআলা তাকে মাগফেরাত নসিব করুন সেই দোয়া করি। তার এই কাজকে আরো বরকত দান করুন। কেয়ামত পর্যন্ত জারি রাখুন। আমিন।
-এটি